দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বলিউড কিং অমিতাভ বচ্চনের গাড়ি দু্ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পরিবহন দফতর।

২৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধন করে গত ১১ নভেম্বর কলকাতা থেকে মুম্বাইয়ে ফিরছিলেন অমিতাভ। পথে কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে এক গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি। অল্পের জন্য সেদিন বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচে যান তিনি।

এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিতাভ বচ্চন যে পাঁচতারকা হোটেলে ছিলেন, সেই হোটেলের কর্তৃপক্ষের কাছে রাজ্য সরকার কৈফিয়ত চেয়েছে। অমিতাভ বচ্চনের ব্যাপারে কেন আগাম সতর্কতা নেয়নি হোটেল কর্তৃপক্ষ? অমিতাভের জন্য রাখা দামি বিএমডব্লিউ গাড়ি কেন পরীক্ষা না করে রাস্তায় নামানো হয়েছিল?

হোটেল থেকে বলা হয়েছে, তারা দুর্ঘটনাকবলিত বিএমডব্লিউ গাড়িটি অন্য একটি পরিবহন প্রতিষ্ঠান থেকে ভাড়ায় এনেছিল। গাড়িটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না—তদন্তে নেমে এমনটাই জানতে পেরেছে রাজ্য পরিবহন দপ্তর। এদিকে সংশ্লিষ্ট গাড়ির মালিক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

১১ নভেম্বর সকালে অমিতাভ বচ্চন হোটেল থেকে রওনা হয়ে ধর্মতলার পথ ধরে ফোর্ট উইলিয়াম পেরোনোর পর হঠাৎ ঝাঁকুনি পান। শব্দও শুনতে পান। অমিতাভ বসেছিলেন বিএমডব্লিউ গাড়ির বাঁ-দিকের আসনে আর তার সঙ্গী রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ডান দিকে। পেছনে ছিল পাইলট ও এসকর্ট কার। এ সময় গাড়ির গতি ভালোই ছিল। ঝাঁকুনির সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি বাঁদিকে হেলে পড়ে।

কিছু বোঝার আগেই অমিতাভ বচ্চন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় দেখতে পান তাদের গাড়ির পেছনের বাঁ-দিকের চাকা খুলে গড়াতে গড়াতে পাশের খোলা মাঠের দিকে চলে যাচ্ছে। এ সময় গাড়ির চালক ব্রেক কষে গাড়িটি থামিয়ে দেন। এরপর পুলিশ এসে কনভয়ের মধ্যে থাকা অন্য একটি গাড়িতে করে অমিতাভ বচ্চন এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দ্রুত পাঠিয়ে দেন বিমানবন্দরে।

এই ঘটনার পর অমিতাভ বচ্চন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ঈশ্বরকে অশেষ ধন্যবাদ। এ যাত্রায় বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ১৭, ২০১৭)