দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের নাগরিক সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার জন্য স্কুল-কলেজ এবং ব্যাংকগুলোতে চিঠি দেওয়া হয়েছে। না আসলে শিক্ষকদের চাকরি থাককে না, আর ব্যাংকে কর্মরতদের ৫দিনের বেতন কাটা যাবে। সবাইকে এসব কথা বলেই সমাবেশে আনা হয়েছে।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

 

 

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করে ভাসানী স্মৃতি সংসদ।

ফখরুল বলেন, ‘প্রত্যেকটা স্কুল-কলেজকে চিঠি দিয়েছেন, না আসলে শিক্ষকদের চাকরি থাকবে না। ব্যাংকে চিঠি দিয়েছেন, না আসলে পাঁচ দিনের বেতন কাটা যাবে। শিক্ষক সবাইকে এই কথা বলে নিয়ে আসছেন। সকালে দেখে এসেছি, বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদের তোলা হচ্ছে। আমাদের তো আপত্তি নেই।’

তিনি বলেন, একদিকে আপনারা সমস্ত মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছেন, মিথ্যা দিয়ে সত্যকে ঢেকে দিচ্ছেন। অন্যদিকে এসমস্ত কথা বলে মানুষকে প্রতারিত করছেন। বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় বসে নাগরিকদের সব স্বাধীনতা হরণ করে নিয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সকালে দেখে এসেছি বড় বড় বাসে স্কুলের বাচ্চাদেরকে সমাবেশে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের তো আপত্তি নেই। কিন্তু কী গেইন করছেন? একটি মানুষের অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছেন। মিথ্যা দিয়ে সব ঢেকে দিচ্ছেন।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় থাকার জন্য যা যা করার তাই করছেন আপনারা।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগামী নির্বাচনে এ দেশের মানুষ সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন দেখতে চায়। এজন্য নির্বাচন কমিশনকে এখন থেকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ১৮, ২০১৭)