দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠার পর কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এফ’ ইউনিটের (গণিত ও পরিসংখ্যান) ভর্তি পরীক্ষা বাতিলে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

এর ফলে ৮৮টি শিক্ষার্থী রিট করলেও এ রায় ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অন্যদিকে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এর আগে গত ১৭ এপ্রিল ওই ইউনিটে ভর্তি বাতিল হওয়া ৮৮ জন শিক্ষার্থীর করা রিটে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে হাইকোর্টের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রায় দেন।

পরে রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের জানান, গত বছরের ৭ ডিসেম্বরের দেওয়া পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি ১০০ শিক্ষার্থী ওই দুটি বিভাগে ভর্তি হন। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠার পর ৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট পরীক্ষা বাতিল করে।

ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফারহানা আক্তার লিজাসহ ৮৮ শিক্ষার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ১৩ মার্চ হাইকোর্ট সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে রুল জারি করা হয়। এর মধ্যে ১৬ মার্চ ‘এফ’ ইউনিটে ফের পরীক্ষা নেয় কর্তৃপক্ষ।

এই আইনজীবী আরও বলেন, এরপর এ রুলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল যথাযথ ঘোষণা করেন। ফলে ১৬ জানুয়ারি ভর্তি হওয়া ১০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি বহাল থাকে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২২, ২০১৭)