দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : মৌলভীবাজার জেলার মন্ডপগুলো সাজছে নানান সাজে। অনেক মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। কোনটায় আবার চলছে রঙের কাজ । ভক্তদের অভ্যর্থনা জানাতে বাহারি সাজের গেট আর তোরণ তৈরি হচ্ছে প্রতিটি মন্ডপে।

জেলার ৭৭২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সংঘ, মন্দির আর ব্যক্তিগত পূজা মিলিয়ে সংখ্যা দাঁড়াবে এক হাজারে। দুর্গোৎসবের অয়োজকরা কাটাচ্ছেন ব্যস্ত সময়। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে ষষ্টবারের মতো পৌরাণিক ‘থিম’ অনুসরণ করে মন্ডপ সাজাচ্ছে ত্রিনয়নী পূজা পরিষদ। এবার সতী দেবীর মৃত্যুর পর পার্বতীর জন্ম থেকে বিবাহ পর্যন্ত বিভিন্ন পৌরাণিক ঘটনার আবহে অর্ধশতাধিক প্রতিমা তৈরি করছে ত্রিনয়নী পূজা পরিষদ। ত্রিনয়নীতে আসা ভক্তরা একটি দানবের মুখ দিয়ে পেটের ভেতর প্রবেশ করে সেখানে তিনটি স্তরে প্রতিমা দেখে দানবটির লেজ দিয়ে বের হয়ে আসবেন।

ত্রিনয়নী পূজামন্ডপের প্রতিমা শিল্পী দীপক পাল বলেন, ‘দশজন কারিগর নিয়ে টানা পনের দিন প্রতিমা তৈরির কাজ করছি। তবে শেষ দিকে এসে পরিশ্রম অনেকটাই বেড়ে গেছে। কিন্তু উৎসাহের ভাটা পরেনি একটুও। রঙের কাজ এখনো অনেকটা বাকি। তবে মায়ের আশীর্বাদে ষষ্টীর আগেই সব কাজ শেষ করা যাবে।’

জেলা পূজা উদযাপন কমিটিও ব্যস্ত প্রতিটি পূজামন্ডপের তদারকিতে। কমিটির সভাপতি মিহির কান্তি দে জানান, সামর্থ্য অনুযায়ী সংঘ এবং মন্দিরগুলোতে পূজাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। পূজা চলাকালে দর্শনার্থী ও ভক্তদের প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানে প্রতিটি অঞ্চলে উদযাপন কমিটির সঙ্গে প্রতিনিয়িত মতবিনিময় চলছে। এছাড়া প্রশাসনের সাথে মতবিনিময় করে সমন্বিতভাবে সফল অয়োজনে সচেষ্ট তারা।

মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার তোফায়েল আহাম্মদ বলেন, এই উৎসব নিরাপদ করতে পুলিশ প্রশাসন গ্রহন করেছে নানা পরিকল্পনা। সে অনুযায়ী বিভিন্ন স্তরে চলছে নিরাপত্তা প্রস্তুতি। নির্বিঘ্নে যানচলাচলের জন্য ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ দল কাজ করবে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে।

এদিকে শেষ মূহুর্তের পূজার কেনাকাটার ধুম লেগেছে মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলোতে। তবে আগের বছরের তুলনায় দাম বৃদ্ধির অভিযোগও রয়েছে ক্রেতাদের।

(দিরিপোর্ট২৪/ডব্লিউএস/এমডি/অক্টোবর ০৮, ২০১৩)