গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2017/11/27/images-1.jpg)
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে রিক্তা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধুকে গলা কেটে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রবিবার (২৬ নভেম্বর) রাত ২ টার দিকে মুকসুদপুর উপজেলা পরিষদের বাসায় ওই গৃহবধুকে দুর্বৃত্তরা জবাই করে চলে যায়। পরে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত রিক্তা বেগমের স্বামী মোর্তুজা মোল্লা মুকসুদপুর ইউএনও অফিসের নৈশ্ প্রহরী। মিথিলা আক্তার লিমা নামে তার ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহতের চাচা আলামিন মোল্লা জানিয়েছেন, ৫ বছর আগে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি গ্রামের ইমান উদ্দিন ওরফে বাসু মোল্লার ছেলে মোর্তুজা মোল্লার সাথে একই উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ী গ্রামের নুর আলম মোল্লার মেয়ে রিক্তা বেগমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টাকা পয়সাসহ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে মোর্তুজার সাথে শশুর বাড়ির লোকজনের বিরোধ ছিলো। সম্প্রতি এ বিরোধ চরম আকার ধারণ করায় মোর্তুজা তাকে গলা কেটে হত্যা করছে বলেও তিনি দাবী করেন।
মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানিয়েছেন, রবিবার রাত ২ টার দিকে নৈশ প্রহরী মোর্তুজা মোল্লার বাসায় কে বা কারা ঢুকে তার স্ত্রী রিক্তা বেগমের গলা কেটে চলে যায়। এ সময় সে গলা কাটা শিশু কন্যাকে নিয়ে রুম হতে বের হয়ে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়িতে করে তাকে প্রথমে মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে এবং পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের জিম্মায় নেওয়া হয়েছে। একই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু নাঈম মো. মারুফ খান জানিয়েছেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই। অবস্থা খারাপ দেখে রিক্তা বেগমকে গাড়িতে করে প্রথমে মুকসুদপুর হাসপাতালে ও পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকলে কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। সেখানে তিনি মারা যান।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২৭, ২০১৭)