শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরে স্কুল ছাত্র মাহমুদুল হাসান (১৭) হত্যা মামলার রায়ে ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে সাজাপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাভোগের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

 

মঙ্গলবার দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে শেরপুরের জেলা ও দায়রা জজ  মো. আওলাদ হোসেন ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

 

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের চরভাবনা নামাপাড়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে সৈয়দ জামান (৬৫), একই গ্রামের মৃত আ. হাকিমের ছেলে আব্দুল মোতালেব (৪৫) ও আ. মুন্নাফ (৪০),  মৃত সুরুজ্জামানের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৮) ও মোকছেদ আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৪) ।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, চর ভাবনা নামাপাড়া গ্রামে ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য মাওলানা আজিজুর রহমানসহ প্রতিবেশী কয়েকজন যৌথভাবে একটি শ্যালো মেশিন বসায়। ২০০৪ সালের ১৫ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ক্ষেতে পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ সময় আসামিরা মাহমুদুল হাসানকে কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। ওইদিন নিহতের ভাই মৌলভী মো. আরিফ রাব্বানী বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় ৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত শেষে শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক সজীব দত্ত একই বছর ১৭ জুন ৭ জনের নামে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। মামলার বিচার চলাকালীন দুই আসাাম মো. মোকছেদ আলী ও সুরুজ্জামান মারা যান। দীর্ঘ শুনানি শেষে বাদী, চিকিৎসকসহ ৮ জন সাক্ষী’র সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিচারক ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্র পক্ষের কৌশুলী অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, দেরিতে হলেও ভিকটিমের পরিবার ন্যায় বিচার পেয়েছে। অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট নারায়ণ চন্দ্র হোড় ও অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ২৮, ২০১৭)