দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় মায়া কাটারা মার্কেট নিয়ে রিটে পক্ষভুক্ত হতে ‘দখলদারদের’ আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সাইনবোর্ড নামাতে আদালতের আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনও খারিজ করেছেন আদালত।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অমিত দাশ গুপ্ত, সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুনতাসির মাহমুদ রহমান ও সুভাষ চন্দ্র দাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমা ও অবন্তী নুরুল।

এর আগে গত ১৯ নভেম্বর রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় মায়া কাটারা মার্কেটে দখলদারদের লাগানো সাইনবোর্ড ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার পুরান ঢাকার বাসিন্দা নাফিসা মঈন, শাফাক জেরিন ও আসিফ সুলতান হাইকোর্টে পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেন। অমিত দাশ গুপ্ত বলেন, ‘তিনজন পক্ষভুক্ত হতে আবেদন করেছেন। যারা নিজেদেরকে মালিক দাবি করে সাইনবোর্ড লাগাতে ডেভেলপার কোম্পানিকে অনুমতি দিয়েছিলেন। হাইকোর্ট আজ সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। একইসঙ্গে ১৯ নভেম্বরের সাইনবোর্ড নামানোর আদেশ স্থগিত চেয়ে করা আবেদনও খারিজ করা হয়েছে।’

গত ৭ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সরকারি মার্কেট দখলে বেসরকারি সাইনবোর্ড’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন যুক্ত করে আব্দুল আজিজ নামে এক সাংবাদিক হাইকোর্টে রিট করেন।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় হাজার কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি দখলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্র। ওই সম্পত্তিতে মায়া কাটারা মার্কেট নামে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজের একটি পাইকারি মার্কেট রয়েছে। সেখানে দোকানের সংখ্যা প্রায় তিনশ। চক্রের সদস্যরা দোকানিদের জানিয়েছে, মার্কেটের মূল মালিক সাফায়াত গং মার্কেটটি বিক্রি করে দিয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী শাজাহান সিরাজ জুয়েলসহ কয়েকজন সেটি কিনেছেন। তারা এখন বহুতল শপিং কমপ্লেক্স তৈরি করবেন। নতুন মার্কেট তৈরি হলে দোকানিরা আকার অনুযায়ী তাদের দোকান বুঝে পাবেন। এরই মধ্যে মার্কেটের ওপরে বায়নাসূত্রে মালিকানার বিশাল সাইনবোর্ডও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় দোকানিরা পড়েছেন মহাবিপাকে। বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, এ মার্কেটটি আসলে কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সরকারি সম্পত্তি। সরকারি সম্পত্তিতেই টানানো হয়েছে দখলের সাইনবোর্ড। সাধারণ ব্যবসায়ীরা সেখানে বেশ আতঙ্কে দিনাতিপাত করছেন। এ নিয়ে কোনো কথা বলতে গেলে তাদের গুম-খুনেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ২৯, ২০১৭)