অবশেষে বিতর্কিত ৫৭ ধারা বিলুপ্ত হচ্ছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের (আইসিটি) ৫৭ ধারাসহ বিতর্কিত কয়েকটি ধারা বিলুপ্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি আরো জানিয়েছেন, প্রস্তাবিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তথ্যমন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার জন্য এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। সুতরাং ডিজিটাল অপরাধ মোকাবিলার বিষয়গুলো এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।’
বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ছাড়াও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য বসেছিলাম। সাংবাদিকদের উদ্বেগের বিষয় আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৫৭ ধারা সেভাবে থাকবে না। বাকস্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য যেসব চেক অ্যান্ড ব্যালেন্স দরকার, সেগুলো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সম্প্রচার আইনের মধ্যে থাকবে।’
কবে নাগাদ চূড়ান্ত করা হবে—জানতে চাইল তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘চূড়ান্ত করে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলব। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে।’
নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা এটি সুপ্রিম কোর্টের কাছ থেকে পেয়েছি। সেটা রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দেব। আজই পাঠানো হতে পারে।’
আইসিটি আইনের ৫৭ ধারাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থি দাবি করে সেটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছেন সম্পাদক পরিষদসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
৫৭ ধারায় বলা হয়েছে- ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো ব্যক্তির তথ্য যদি নীতিভ্রষ্ট বা অসৎ হতে উদ্বুদ্ধ করে, এতে যদি কারও মানহানি ঘটে, রাষ্ট্র বা ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়, তা হবে অপরাধ। এর শাস্তি অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানা।
২০০৬ সালে হওয়া এ আইনটি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে দুই দফা সংশোধন করা হয়। সর্বশেষ সংশোধনে সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর থেকে ১৪ বছর কারাদণ্ড করা হয়। আর ৫৭ ধারার অপরাধকে করা হয় জামিনঅযোগ্য।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ২৯, ২০১৭)