পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরীফ তমাল ও তার ক্যাডার বাহিনী ৪ টিভি সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

বুধবার বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিকদের ল্যাপটপ ও ক্যামেরা ভাংচুর করেছে।

 

আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে বিকেলে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

 

আহতরা হলেন-সময় টিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাবনা প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, এটিএন নিউজের পাবনা প্রতিনিধি রিজভী রাইসুল ইসলাম জয়, ডিবিসি নিউজের পাবনা প্রতিনিধি পার্থ হাসান ও ক্যামেরা পার্সন মিলন হোসেন।

আহত সাংবাদিকরা জানান, বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সম্পাদক অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদুর প্রচার গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে ভূমিমন্ত্রীর ছেলে তমাল ও তার অনুসারী যুবলীগের ক্যাডার বাহিনী। এ সময় ভাংচুর ও হামলা দৃশ্য ভিডিও ক্যামেরায় ধারণ করার সময় ক্যাডাররা সাংবাদিকদের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার করে। পরে তাদের আহতাবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের দেখতে যান পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকরা। পরে হাসপাতাল চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের প্রধান আব্দুল হামিদ সড়ক অবরোধ করে ট্রাফিক মোড়ে প্রতিবাদ সভা করেন সাংবাদিকরা।

এ সময় জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শিবজিত নাগ, সহ-সভাপতি কামাল সিদ্দিকী, সম্পাদক আঁখিনূর ইসলাম রেমন, সাবেক সম্পাদক উৎপল মির্জা, এবিএম ফজলুর রহমান, বিটিভি প্রতিনিধি আব্দুল মতীন খান প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে সাংবাদিকদের আহতের প্রতিবাদে তিনদিন কালোব্যাজ ধারণ ও ভূমিমন্ত্রীর সকল সংবাদ বয়কটের ঘোষণা দেন সাংবাদিক নেতারা।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনাটি লোকমুখে শুনেছি। তবে অভিযোগ পাইনি। তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে পুলিশ।’

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ২৯, ২০১৭)