দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে লেকহেড গ্রামার স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখা খুলে দিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানির দিন পিছিয়েছে। আগামী রবিবার (৩ নভেম্বর) শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তিনি বলেন, লেকহেড গ্রামার স্কুলের বর্তমান কমিটি ও শিক্ষকরা জঙ্গিবাদে জড়িত কি না সে বিষয়ে একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু আমরা তা পড়ে দেখার সময় পাইনি। এজন্য সময় প্রয়োজন।

এদিকে লেকহেড গ্রামার স্কুলের পক্ষে ব্যারিস্টার আখতার ইমাম ওই স্কুলের শিক্ষকদের ও কমিটির সদস্যদের বিস্তারিত ঠিকানা আদালতে দাখিল করেছেন। এ ছাড়া ওই স্কুলে কোন প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয় তাও আদালতে দাখিল করা হয়েছে।

আদালতে লেকহেড স্কুলের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আখতার ইমাম, আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদার, আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু ও ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

গত ১৪ নভেম্বর লেকহেড গ্রামার স্কুলের ধানমন্ডি ও গুলশান শাখা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুলে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৬ নভেম্বর ধানমন্ডি ও গুলশানের দুটি শাখাসহ লেকহেড স্কুলের সব শিক্ষা কার্যক্রমবন্ধ করার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সালমা জাহানের সই করা চিঠিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।চিঠিতে বলা হয়, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারের অনুমোদন নেয়নি। এ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ধর্মীয় উগ্রবাদ, উগ্রবাদী সংগঠন সৃষ্টি, জঙ্গি কার্যক্রমে পৃষ্ঠপোষকতাসহ স্বাধীনতার চেতনাবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/নভেম্বর ৩০, ২০১৭)