নারী নির্যাতন মামলায় সানিকে অব্যাহতি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে দায়ের হওয়া মামলায় অব্যাহতি পেলেন ক্রিকেট তারকা আরাফাত সানি ও তার মা নার্গিস আক্তার ।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তাবাসুম ইসলাম এই অব্যাহতির আদেশ দেন।
মামলার বাদী নাসরীন সুলতানা মামলা প্রত্যাহার করার আবেদন করার পর আদালত সানি ও তার মাকে অব্যাহতির আদেন দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রিয়াজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘মামলার বাদী নাসরীন সুলতানা আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেছেন, ইতিমধ্যে আমরা ঘর-সংসার করছি। এ মামলা আমি আদালত থেকে প্রত্যাহার করতে চাই। আদালত তার আবেদন গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।’
গত ১৭ আগস্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইয়াহিয়া, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি’উল্লেখ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছিলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আরাফাত সানির নামে যৌতুকের মামলা করেন তার স্ত্রী দাবিকারী এক তরুণী। আদালত মামলা আমলে নিয়ে মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর ২২ জানুয়ারি আরাফাত সানিকে তার আমিনবাজার এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মামলায় ওই তরুণী দাবি করেন, সাত বছর আগে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠতার সূত্র ধরে ২০১৪ সালের ৪ ডিসেম্বর উভয়ের পরিবারকে অবহিত না করেই সানির সঙ্গে তিনি গোপনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু, বিয়ের পরে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ বাড়িতে তুলে না নিয়ে আরাফাত সানি সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। এমনকি তিনি সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তাব দিলেও সানি তাতে কান দেননি।
এরপর গত ১২ জুন রাত ১টা ৩৫ মিনিটে সানি তার নাম ব্যবহার করে নিজের মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে একটি ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলেন এবং ওই আইডি দিয়ে তরুণীর নিজস্ব অ্যাকাউন্টে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের কিছু ছবি ও একক ছবি ফেসবুক মেসেঞ্জারে পাঠিয়ে তাকে নানারকম হুমকি দিতে থাকেন। এরপর তার ফেসবুক আইডিতে নগ্ন ছবি পাঠিয়ে তাকে আরও উত্ত্যক্ত করতে থাকেন সানি এবং তাকে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে বলে হুমকি দিতে থাকেন। এছাড়াও তার কাছে যৌতুক চেয়ে তাকে মারধর করেন আরাফাত সানি। তবে ক্রিকেটার আরাফাত সানি বরাবরই বিয়ে ও ওই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার কথা অস্বীকার করে আসছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/নভেম্বর ৩০, ২০১৭)