দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও করবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ১৩ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় দূতাবাস ঘেরাও ও আগামী রবিবার বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

বায়তুল মোকাররম মসজিদে শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক নূর হোসাইন কাসেমী এ ঘোষণা দেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ ঘোষণার প্রতিবাদে একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর শাখা। বিক্ষোভে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহানগর উত্তর শাখার সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ দেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প চান না বিশ্বের বুকে শান্তি থাকুক। তাঁর কাজই হলো গোটা দুনিয়াব্যাপী অশান্তির তাঁবেদারি চালু রাখা। তিনি বলেন, বিশ্বে যেসব সংস্থা রয়েছে, তারা ট্রাম্পের হাতকে যদি স্তব্ধ করতে না পারে, গোটা দুনিয়ার মুসলিম উম্মাহ ট্রাম্পকে উচিত শিক্ষা দেবে।

বিক্ষোভে ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাল মাদানি বলেন, ‘জেরুজালেমকে যারা ইসরায়েলের রাজধানী করতে চায়, এটা আমরা করতে দেব না। মুসলমানদের এক বিন্দু রক্ত থাকতে জেরুজালেম ইহুদিদের রাজধানী করতে দেব না।’

ট্রাম্পের এ ঘোষণার প্রতিবাদে একই সময়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ঢাকা মহানগরী শাখা।

জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর ফটক থেকে এই বিক্ষোভ মিছিলগুলো বের হয়ে পুরানা পল্টন ও দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে উত্তর ফটকে এসে শেষ হয়। এ সময় পুরানা পল্টন থেকে দৈনিক বাংলা মোড়ে প্রায় ৪০ মিনিট যান চলাচল বন্ধ ছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য এই দুই মোড়ে মোতায়েন ছিল।

বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের ‘কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়, ফিলিস্তিনি স্বাধীন করো’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

গত বুধবার (৬ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেম শহরকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন এবং জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। এর প্রতিবাদে এই বিক্ষোভগুলো করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ডিসেম্বর ০৮, ২০১৭)