দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বেগম রোকেয়া দিবস শনিবার (৯ ডিসেম্বর)। বাংলার নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার ১৩৭তম জন্ম ও ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দে এক জমিদার পরিবারে রোকেয়ার জন্ম হয়। ১৯৩২ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনি মারা যান। এই মহিয়সী নারীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর সরকারিভাবে দিবসটি পালন করা হয়। খবর- বাসসের।

বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন ছিল সমাজে নারী-পুরুষ সমান মর্যাদা আর অধিকার নিয়ে বাঁচবে। সেই স্বপ্নের কথাই তিনি লিখে গেছেন তার গল্প-উপন্যাস-প্রবন্ধগুলোতে। নারীশিক্ষার প্রসারে কাজ করে গেছেন আমৃত্যু। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো: আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এছাড়া মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় রোকেয়া দিবস উপলক্ষে শনিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে পালিত হবে দিবসটি। নারী উন্নয়ন ও নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখার জন্য এ বছর ৫ নারীকে রোকেয়া পদক দেওয়া হবে।

যারা পদক পাচ্ছেন: এ বছর রোকেয়া পদক পেয়েছেন চিত্রশিল্পী সুরাইয়া রহমান, লেখক শোভা রানী ত্রিপুরা, সাংবাদিক মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদ (মরণোত্তর), সংগঠক মাজেদা শওকত আলী, সমাজকর্মী মাসুদা ফারুক রত্না। আজ পদকপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বেগম রোকেয়ার জীবনাদর্শ ও কর্ম আমাদের নারী সমাজের অগ্রযাত্রায় প্রেরণা জোগাবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেছেন, ‘বেগম রোকেয়ার আদর্শ, সাহস, কর্মময় জীবন নারী সমাজের এক অন্তহীন প্রেরণার উৎস।’

বেগম রোকেয়ার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে- মতিচূর (প্রবন্ধ, ২ খণ্ড: ১ম খণ্ড ১৯০৪, ২য় খণ্ড ১৯২২), সুলতানস ড্রিম (নকশাধর্মী রচনা, ১৯০৮), পদ্মরাগ (উপন্যাস, ১৯২৪), অবরোধবাসিনী (নকশাধর্মী গদ্যগ্রন্থ, ১৯৩১) প্রভৃতি। এছাড়া আছে অসংখ্য প্রবন্ধ, ছোটগল্প, কবিতা, ব্যাঙ্গাত্মক রচনা ও অনুবাদ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৭ )