দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তবে বাকি দুটি মামলায় আবারও শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এর ফলে মামলার তিন আসামির মধ্যে দু’জন গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদ জামিনে মুক্ত হতে পারবেন বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তাদের অপর সহোদর দিলদার আহমেদের জামিন হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এ সংক্রান্ত জারি করা রুলের আংশিক গ্রহণ করে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস ও আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ।

শুনানি শেষে আইনজীবী ইউসুফ মাহবুব মোর্শেদ বলেন, আদালত পাঁচ মামলার মধ্যে তিনটিতে জামিন দিয়েছেন। তবে বাকি দুই মামলায় স্থিতিবস্থা রেখে একমাস পর শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তাই এখন এ মামলায় দিলদার আহমেদ ছাড়া বাকি দুই আসামি জামিনে মুক্ত হতে পারবেন।

এর আগে,গত ২২ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদেকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়। ওইদিন পৃথক পাঁচটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

পরে আইনজীবী আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা হওয়ার কথা না। কারণ,তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও তাদেরকে একটি দোকানের বিষয়ে শুল্ক আইনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে একটি রিট মামলাও চলমান রয়েছে। অথচ এসব মামলা ও অভিযোগের বিচার প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে আবারও মামলা দেওয়া হলো।

তিনি আরও বলেন, বিচারিক আদালতে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের পক্ষে আবেদন করা হলেও তাদের জামিন মেলেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি কার্যতালিকায় এলে রাষ্ট্রপক্ষকে এ নিয়ে শুনানি করতে বলা হয়।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ওই রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭)