দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর হাত থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করতে বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে রক্ত দিয়েছে।

জাতীয় জাদুঘরে শুক্রবার ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন আয়োজিত ‘ইন্টারএ্যাকশন উইথ ইন্ডিয়ান ওয়ার ভেটেরান্স’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রক্তের সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশ ও ভারতের মিত্র বাহিনী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে একসাথে লড়েছে, রক্ত দিয়েছে এবং জীবন বিসর্জন দিয়েছে।’

ভারতের মেজর জেনারেল এইচ এস ক্লের লিখিত ‘ঢাকায় ১২ দিন’শীর্ষক একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয় এদিন। লেখকের ছেলে আইএফএস-এর উইং কমান্ডার (অব.) দীজয় ক্লের বইটি সম্পাদনা করেন।

অনুষ্ঠানে বইটির বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভার্সনেরই মোড়ক উন্মোচন করা হয়। তবে ভারতে মোড়ক উন্মোচনের পর ইংরেজি ভার্সনটি আগেই বাংলাদেশের বাজারে এসেছে।

দীজয় ক্লের স্ত্রী-পুত্র ও নাতি-নাতনিসহ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।

ব্রিগেডিয়ার এইচএস ক্লের মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯৫ মাউন্টেন ব্রিগেডের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন। দীজয় সেই সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) ফ্লাইং অফিসার ছিলেন। তিনিও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এইচএস ক্লের ২০১৬ সালে মারা যান।

ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ স্বাইকা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া ১০ ভারতীয় সৈন্য এবং বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা ভারতের জনগণ, সরকার এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর কাছে ঋণী। তারা পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আমাদের আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়েছিলেন এবং উৎসাহ যুগিয়েছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘ভারত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশী জনগণের অধিকারের পক্ষে প্রচারণা চালাতে বিপুল সহায়তা দিয়েছে।’

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলামও অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তার স্মৃতিচারণ করেন।

(দ্য রিপোর্ট/জেডটি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৭)