দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শিক্ষকরাই আসল প্রশ্নফাঁসকারী বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথসভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষা সংক্রান্ত নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে সচিবালয়ে এই যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রশ্নফাঁস বন্ধে বহু ধরনের সাজেশন এসেছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পরীক্ষার দিন আধ ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার কথা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন বুঝলাম আসল প্রশ্নফাঁসকারী তো শিক্ষক তখন আধঘণ্টা আগে দিয়েই লাভ কী।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি যখন আমার শিক্ষকের হাতে প্রশ্ন তুলে দেব তখন তো নিরাপদ হয়ে ঘুমাতে যাওয়া উচিত। কিন্তু কিছু শিক্ষক সে সময় প্রশ্নফাঁস করে দেন। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আধঘণ্টা আগেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রে ঢোকার পর প্রশ্নপত্রের খাম খোলা হবে।

মন্ত্রী বলেন, কিছু শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে বাড়িতে বা কোচিংয়ে পড়ান। যত বড় ভাল শিক্ষক তত ক্লাসে কম পড়ান। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দুর্নীতি দমন কমিশনের সঙ্গে তারা একসঙ্গে কাজ করবে।

এ সময় দুদক কমিশনার ড. নাসির উদ্দিন বলেন, সারাদেশে যত জায়গায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এসব ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সরকারি লোকজন জড়িত। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব সার্কুলার দিয়েই সারাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতি মুক্ত করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গভর্নিং বডির কার্যক্রমসহ প্রতিটি সাধারণ কাজ অনলাইনভিত্তিক করার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস কীভাবে ঠেকানো যায় এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা ও শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষার্থীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ছাত্রলীগ নেতাও রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭)

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭)