চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : আয়োজকদের অব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রামে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে।

বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহারের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

কমিটির প্রধান মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মোস্তাইন হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, অতিরিক্ত ভিড়ের পাশাপাশি অব্যবস্থাপনা ও রীমা কমিউনিটি সেন্টারে নির্মাণ ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। সেখানে যে পরিমাণ মানুষ হয়েছে, তাদের সামাল দিতে স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন প্রয়োজনের তুলনায় কম। এছাড়া ওই কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ মুখে নির্মাণ ত্রুটি না থাকলে এ ধরনের ঘটনা ঘটত না।

নির্মাণ ত্রুটি না সারা পর্যন্ত কমিউনিটি সেন্টারটি বন্ধ রাখতে বলেছে পুলিশের তদন্ত কমিটি। এছাড়া ভবিষ্যতে বড় অনুষ্ঠান হলে লোকসংখ্যা কেমন হবে, তার ভিত্তিতে স্থান নির্ধারণসহ ছয়টি সুপারিশ করেছে কমিটি।

গত সোমবার বন্দর নগরীর আশকার দীঘির পাড়ে ওই কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১০ জন নিহত হন, আহত হন অনেকে।

ওই ঘটনাটি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতোয়ালি জোন) জাহাঙ্গীর আলম বলেছিলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, অনেক লোক বাইরে অপেক্ষা করছিল, ভেতরে যত জন ছিল, তার চেয়ে বাইরে রাস্তায় বেশি লোক অবস্থান করছিল। একটা সময় স্বেচ্ছাসেবকরা গেইট খুলে দেওয়ায় এক সঙ্গে বিপুল সংখ্যক লোক ঢোকার চেষ্টা করে। পাশাপাশি কমিউনিটি সেন্টারের প্রবেশ পথে তিন-চার ফুট ঢাল ‍হওয়ায় একসঙ্গে তারা ঢুকতে গেলে ভারসাম্য রাখতে না পেরে নিচের দিকে পড়ে যায়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ২২, ২০১৭)