দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর আমীর মতিউর রহমান নিজামীর পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়েছে। তার আইনজীবী মিজানুল ইসলাম বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।



ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বেঞ্চ মামলাটির কার্যক্রম আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করেছেন।



নিজামীর পক্ষে মিজানুল ইসলাম বলেন, মহান মুক্তিযদ্ধের সময় আল-বদর বাহিনী গঠন করা হয়েছিল বলে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের দাখিল করা ডকুমেন্টে আল-বদর বাহিনী গঠন সংক্রান্ত চার ধরনের তথ্য রয়েছে। এসব তথ্যের মধ্যে আল-বদর বাহিনী গঠন সংক্রান্ত কোনো তথ্য সঠিক তা জানতে চান তিনি।



মিজানুল ইসলাম আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেন, “আসলে আমার প্রশ্ন হলো সত্যিকার অর্থে কে গঠন করেছিল আল-বদর বাহিনী। কত তারিখে গঠন করা হয়েছে তারও কোনো সঠিক তারিখ নেই।”



মিজানুল ইসলাম আরো বলেন, “আমি মনে করেছিলাম নিজামীর মামলায় এজাহার রেকর্ড করেছেন ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার। কিন্তু আমি যখন জানতে পারলাম ট্রাইব্যুনাল স্বয়ং নিজে এজাহাার রেকর্ড করেছেন তা সম্পূর্ণ বে-আইনি হয়েছে।


গত ৬ নভেম্বর রাষ্ট্রপক্ষে প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী, মোহাম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। তাদের যুক্তি খ-ন শেষে আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।



নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালের আদেশে ৪ জন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। সাক্ষীদের জেরা করেন প্রসিকিউশন। নিজামীর বিরুদ্ধে গত বছরের ২৬ আগস্ট থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষী হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা, অধ্যাপক, সাংবাদিক ও ইতিহাসবিদসহ মোট ২৬ সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ এসব সাক্ষিদের জেরা করেন।



মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ১৬টি অভিযোগ এনে গত বছরের ২৮ মে নিজামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, লুট, ধর্ষণ, উস্কানি ও সহায়তা, পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাসহ মোট ১৬টি ঘটনায় এ অভিযোগ আনা হয়।



অন্য একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে একই বছরের ২ আগস্ট এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার দেখানো হয়।


(এআইপি/এইচএসএম/নভেম্বর ০৭, ২০১৩)