গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে ফজরের নামাজের পর থেকে আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুক্রবার এবারের বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। বাংলায় আমবয়ান করেন মাওলানা ওমর ফারুক।

বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লিদের উদ্দেশে প্রস্ততিমূলক বয়ান শুরু হয়। প্রস্তুতিমূলক এই বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুল রেহমান রাভিয়ানা।

বিশ্ব ইজতেমার কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য ও এবারের বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী ইজতেমার মুরব্বি মো. মাহফুজ জানান, দ্বিতীয় পর্বটিতে অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি মুসল্লির কাছে বয়ানকে আকর্ষণীয় করতে আগের বছরের বয়ানকারী ও মোনাজাতকারীর নামের তালিকায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব ভারতের মাওলানা আব্দুল রেহমান রাভিয়ানা ও শুক্রবার বাদ ফজর বাংলায় বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা ওমর ফারুক। এবারও আরবি ও বাংলায় আখেরি মোনাজাত করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জোবায়ের।

বিশ্ব ইজতেমার মুরব্বি গিয়াসউদ্দিন জানান, দ্বিতীয় পর্বে বয়ানকারীরা হলেন (দেওবন্দ তাবলিগের অনুসারী) ভারতের মাওলানা আব্দুল রেহমান রাভিয়ানা, মাওলানা আহমদ হোসাইন গোদরা, মাওলানা ইউনুছ পলানপুরী, মাওলানা আকবর শরিফ বাঙ্গালোর, ভাই সানোয়ার দিল্লি, মাওলানা ফারহিন, ও মাওলানা ভাই শামীম।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, ‘দ্বিতীয় দফার জন্যও আমাদের আগের দফার মতো ব্যাপক ও সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ইজতেমা শেষে মুসল্লিরা যাতে ভালোভাবে ফিরে যেতে পারেন, সে জন্য সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’

গাজীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, বিশ্ব ইজতেমায় দায়িত্ব পালনে পুলিশের সাত হাজার সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। নেওয়া হয়েছে সাত স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। তাবলিগ জামায়াতের দ্বন্দ্বের কোনো প্রভাব ইজতেমায় পড়বে না, জানিয়ে তিনি বলেন, অর্ধশতাধিক অত্যাধুনিক সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা মনিটরিং হচ্ছে। ইজতেমা ময়দানে যাতে মুসল্লিরা নির্বিঘ্নে আসতে পারেন, সে জন্য যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। একই সঙ্গে তুরাগ নদে নৌপুলিশ দায়িত্বপালন করছে। ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি খিত্তা ও ময়দানের আশপাশের এলাকায় সাদাপোশাকে পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।

ময়দানের আশপাশের এলাকা হকার ও ভিক্ষুকমুক্ত করা হয়েছে।

একই ময়দানে গত ১২ জানুয়ারি শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফা। প্রথম দফায় ঢাকার একাংশসহ ১৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন। ১৪ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছিল প্রথম দফা।

দ্বিতীয় পর্বে আখেরি মোনাজাত হবে ২১ জানুয়ারি রবিবার। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।

(দ্য রিপোর্ট/এমএমএফ/এমএসআর/জানুয়ারি ১৯, ২০১৮)