দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঢাকার মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন মনু ওরফে মনু হাজী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট

বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল নির্মল কুমার দাস। অন্যদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট শ. ম রেজাউল করিম ও অ্যাডভোকেট সরোয়ার হোসেন।

এর আগে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মিরপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মনির উদ্দিন মনু ওরফে মনু হাজী হত্যা মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাতসহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। একইসঙ্গে এক নারী আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

এর আগে ঢাকার ৪ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম নিজামুল হক এ রায় দেন।

নিম্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, মো. মিন্টু, মাসুদুর রহমান ওরফে তোতা ওরফে তোতলা মাসুদ, মাহমুদুর রহমান ওরফে সোহেল, লিটন হোসেন ওরফে লোটাস ওরফে নুরুজ্জামান, মো. নোমান ইবনে বাসার ওরফে বাবু ওরফে টিভিএস বাবু, মো. হাসান সারোয়ার ওরফে মো. জিকু।

এছাড়া এ মামলার আসামি জাহানারাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। দণ্ডের অতিরিক্ত তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ মামলায় সোহেল, জিকু, লিটন ও টিভিএস বাবু কারাগারে আছেন। বাকিরা পলাতক।

নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা এবং মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফান্সের শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিরপুরের ৪৯/৩ শাহ আলীবাগের বাসার সামনে মিলাদ মাহফিলের তবারক বিতরণ শেষে বসে থাকা অবস্থায় মনির উদ্দিন মনুকে অস্ত্রধারী আসামিরা পরপর আট রাউন্ড গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

শাহাদাত ও মিন্টু তার ছোট ভাই ব্যবসায়ী মনুর কাছে এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। তা না পেয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে উল্লেখ করে ওই দিনই নিহতের ভাই মো. আকবর আলী রাজধানীর মিরপুর থানায় এ মামলাটি করেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৮)