দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু মালিক নয়, চা শ্রমিকদের উন্নয়নেও কাজ করছে সরকার। এমনকি চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। চা শিল্পের উন্নয়নে মালিক ও শ্রমিকদের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।

রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী-২০১৮ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

এ প্রদর্শনী ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের গবেষণা ও এর বহুমুখি ব্যবহার বাড়াতে নজর দিতে হবে। দেশে বর্তমানে চায়ের উৎপাদন সাড়ে আট কোটি কেজি। যা ২০২৫ সালে ১৪ কোটি কেজিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে সরকার।
এ বছরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চায়ের একটি ক্লোন জাত (বিটি-২১) অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া চা শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়।

ক্যাটাগরিগুলো হলো- শ্রমিককল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, চা উৎপাদনের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, চায়ের গুণগত মানের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, দৃষ্টিনন্দন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি, বৈচিত্র্যময় চা-পণ্য বাজারজাতের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, শ্রেষ্ঠ স্মল গ্রোয়ার ও প্রদর্শনীর শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন।

চা প্রদর্শনী উপলক্ষে ‘লেবার ওয়েলফেয়ার ইন টি গার্ডেনস ইন বাংলাদেশ’, ‘প্রসপেক্ট অব টি ট্যুরিজম ইন বাংলাদেশ’ ও ‘টি অ্যান্ড ইওর হেলথ’ শীর্ষক বিষয়ে তিনটি টিভি টকশোর আয়োজন করা হবে।

এছাড়া প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি বান্দরবান, শ্রীমঙ্গলের অঞ্চলের মানুষরা তুলে ধরবেন আঞ্চলিক সংস্কৃতি। দর্শনার্থীরা অনলাইনে নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে এসব পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন। উদ্বোধনী দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা এবং ১৯ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)