দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচনে যাবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার সাজা এবং নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে সমঝোতানা না হওয়ার মধ্যেই ওবায়দুল কাদের শনিবার বলেছিলেন, বিএনপি নির্বাচনে ‘আসবেই’।

রিজভী বলেন, ‘আমি বিএনপির পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে বলে দিতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের একমাত্র প্রেরণা। ‘উইদাউট খালেদা জিয়া, নো ইলেকশন’- এটাই এখন জনগণের উচ্চারণ।’

‘বেগম জিয়াকে ব্যতিরেকে কোনো নির্বাচন হবে না। মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে হাত-পা বেঁধে চক্রান্তের নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।’

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, তা আদালতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে।

রিজভী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপি নির্বাচনে যাবে- এই তথ্য আপনি (ওবায়দুল কাদের) কোথায় থেকে পেলেন? আপনি কখনও কখনও এমনভাবে কথা বলেন, মনে হয় যেন একদিকে আপনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আবার মনে হয়, অন্যদিকে বিএনপিরও নীতিনির্ধারক।’

‘আমরা বললাম না, উনি বলে দিচ্ছেন! মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমন উদ্ভট, অবাস্তব, বানোয়াট কথা বলেন, তিনি যে মানুষের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন সেদিকে খেয়াল করছেন না। বেহাল সড়ক-মহাসড়কের মতোই তার বক্তব্য বেসামাল।’

খালেদা জিয়ার রায়ের কপি নিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘কামরুল সাহেব বলেছেন রায়ে পেতে দেরির দায় বিএনপির। উনি তো বলবেনই। কারণ পচা গম আমদানি ও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে আওয়ামী নেতা-কর্মীদের অবৈধভাবে চাল আমদানির সুযোগ দিয়ে চালের মূল্য বাড়িয়ে খাদ্যমন্ত্রী বেসামাল হয়ে গেছেন। এখন তিনি আওয়ামী সরকারের বেসুরো ভাঙা ঢোলের মতো কথা বলে যাচ্ছেন।’

নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন স্থানে বিএনপির স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮)