দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : এবার সানগ্লাসের মাধ্যমে অপরাধীদের চেহারা শনাক্ত করা হচ্ছে । চেহারা শনাক্ত করার প্রযুক্তির সানগ্লাস এখন বাণিজ্যিকভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে চীনে। অপরাধীদের চেহারা শনাক্তের জন্য নতুন এ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে পুলিশ। এর মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অপরাধীকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

এ সব স্মার্ট সানগ্লাস একটি ডেটাবেজের সঙ্গে সংযুক্ত, যার ফলে খুব দ্রুত অপরাধীদের ধরতে পারছে পুলিশ। সম্প্রতি চীনের ঝেংডু প্রদেশের পুলিশ এ সানগ্লাস পরে ব্যস্ততম একটি ট্রেন স্টেশন থেকে সাতজন অপরাধীকে শনাক্ত করেছে। তারা মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। খবর- ডেইলি মেইলের।

দেশটিতে নববর্ষের ছুটিকে কেন্দ্র করে অপরাধী শনাক্তের নতুন এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ফেসিয়াল রিকগনিশন টেকনোলজির সহায়তা নেয় পুলিশ। বিশেষ এই সানগ্লাস পরে ট্রেন স্টেশনের প্রবেশ পথে চারজন পুলিশ অপরাধীকে শনাক্ত করে। স্মার্ট সানগ্লাসগুলোতে একটি ক্যামেরা সংযুক্ত করা আছে, যার মাধ্যমে প্রত্যেক যাত্রীর চেহারার ছবি তুলে হেডকোয়ার্টারের ডেটাবেজে পাঠানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় সন্দেহভাজনদের নাম, লিঙ্গ, ঠিকানাসহ সব তথ্য যাচাই করা হয়। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার অফিসারের কাছে সেসব তথ্য পৌঁছে দেয়া হয়। এমনকি সন্দেহভাজন ফেরারি আসামী কি না, সে কোন হোটেলে উঠেছে এমন সব তথ্যও জানাতে সক্ষম এই স্মার্ট সানগ্লাস।

দ্রুত বেড়ে চলা প্রযুক্তিগত উন্নতির কারণে চীনে ব্যায়ামাগার, রেস্তোরাঁ এমনকি পাবলিক টয়লেটেও বাণিজ্যিকভাবে চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্যাংকগুলো ক্যাশ মেশিনে কার্ডের পরিবর্তে চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অবশ্য এই ধরণের চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি মানবাধিকার সংগঠন ও সচেতন মহলের কাছে তীব্রভাবে সমালোচিত হচ্ছে। গত মাসে চীনের একটি মুসলিম অধ্যুষিত প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে এই চেহারা শনাক্তের প্রযুক্তি ব্যবহার করায় সমালোচনা শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)