দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সিরিয়ায় গত মাসে ধরা পড়া ইসলামিক স্টেটের দুই ব্রিটিশ জিহাদিকে কি গুয়ানতানামোয় পাঠানো হবে? নাকি তাদের বিচার হবে? তা যদি হয় কোথায় হবে? আমেরিকায় না আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে? তাদের ভাগ্যে কি ঘটবে - তা নিয়ে ব্রিটেন এবং আমেরিকা আলোচনা করছে।

বলা হচ্ছে আলেক্সান্ডা কোটি আর এল শাফি এলশেখ নামে এই দুই আই এস যোদ্ধা আই এসের এমন একটি সেলের অংশ ছিল - যারা পশ্চিমা জিম্মিদের শিরশ্ছেদ করতো। খবর- বিবিসির।

এর হচ্ছে চার জিহাদির একটি দলের জীবিত দুজন - যাদের ব্রিটিশ টানের ইংরেজির জন্য অন্য আইএস যোদ্ধারাই ১৯৬০ এর দশকের বিখ্যাত পপ গ্রুপের নামে তাদের নাম দিয়েছিল 'বিটলস।'

এই দলের বাকি দুজনের একজন ছিল মোহামেদ এমওয়াজি - যার ক্যামেরার সামনে ছুরি হাতে জিম্মিদের শিরশ্ছেদ করার ভিডিও সারা দুনিয়ায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। ২০১৬ সালে রাক্কার কাছে এক ড্রোন হামলায় সে নিহত হয়। এ দলের আরেকজন তুরস্কের কারাগারে বন্দী।

আইএসের হাতে নিহত হয়েছেন ব্রিটিশ জিম্মি এ্যালান হেনিং এবং ডেভিড হেইনস। মি. হেইনসের মেয়ে বেথানি বলেছেন, তিনি চান তার বাবার হত্যাকারীদের ধীর এবং যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু হোক, এবং তিনি কোটে এবং এলশেখকে কাঠগড়ায় দেখতে চান।

কিন্তু এ দুজনের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করা করা হয়েছে বলে বিবিসি বলছে। তাহলে এদের বিচার হবে কোথায়?

বলা হচ্ছে, এই দুই আইএস সদস্যকে হয়তো গুয়ানতানামো বে'-র মার্কিন সামরিক বন্দীশিবিরে পাঠানো হতে পারে। অথবা হয়তো জেমস ফোলি, পিটার কাসিগ এবং স্টিভ সটলফের মতো মার্কিন নাগরিকদের হত্যার অভিযোগে আমেরিকার আদালতেও বিচার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা দফতর বলেছে, তারা এখনো বিকল্পগুলো বিবেচনা করছে।

অথবা তাদের হয়তো দি হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও তোলা হতে পারে - যে আদালতে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ এবং আগ্রাসনের বিচার হয়। তবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অনুরোধ ছাড়া - শুধু মাত্র কোন দেশ বিচার না করলে বা করতে অক্ষম হলেই দি হেগে কারো বিচার হতে পারে।

আইএস যাদের শিরশ্ছেদ করেছিল তাদের মধ্যে দুজন হলেন জাপানি নাগরিক - হারুনা ইউকাওয়া এবং সাংবাদিক কেনজি গোতো।
এ কারণে জাপানের মাটিতেও তাদের বিচার হতে পারে।

অথবা এমনও হতে পারে যে তারা হয়তো সিরিয়াতেই রয়ে যাবে। কিন্তু সেখানকার পরিস্থিতি এমন যে কখন কি হয় কিছুই বলা যায় না।

স্প্যানিশ সাংবাদিক জাভিয়ার এস্পিনোজা আইএসের হাতে আটক থাকার সময় তাকে হত্যা করার ভয় দেখানো হয়েছিল।

তিনি বলছেন, এদের বিচার কোথায় হলো তাতে কিছু আসে যায় না। বিচার হলেই হলো।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৮)