দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চার দিনের সফরে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। রবিবার সকাল ৮টা ২৫ এ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধান এবং পদস্থ কর্মকর্তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লোংয়ের আমন্ত্রণে এই সফরে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। দুই দেশের সহযোগিতা বাড়াতে এই সফরে ছয়টি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও সিঙ্গাপুরের ইন্টারন্যাশনাল এন্টারপ্রাইজের মধ্যে একটি সমঝোতা, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক, আকাশ পথে যোগাযোগ, ডিজিটাল গভার্নমেন্ট ট্রান্সফর্মেশন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং এফবিসিসিআই ও এমসিসিআইয়ের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশনের দুটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে এর মধ্যে।

এই সফরে সিঙ্গাপুরের বোটানিক্যাল গার্ডেনে একটি অর্কিডের নামকরণ হবে ‘শেখ হাসিনা’।

প্রধানমন্ত্রীকে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে সেদেশে স্বাগত জানানো হবে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন ইসতানা’য়। পরে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করবেন শেখ হাসিনা।

সোমবার সমঝোতায় সইয়ের পর লি সিয়েন লোংয়ের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে যাবেন সিঙ্গাপুর পোর্ট অথরিটিতে।

মঙ্গলবার সকালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ সিঙ্গাপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে নৈশভোজে যোগ দেবেন।

সিঙ্গাপুর সফর উপলক্ষে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেছিলেন, সিঙ্গাপুর বর্তমানে আসিয়ানের নেতৃত্বে রয়েছে। ফলে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিক দিক দিয়েও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে সিঙ্গাপুর সরকারের সহযোগিতা চাইবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, জনপ্রশাসন সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম এই সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকছেন।

এছাড়া এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলামের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের ৪৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়েছেন।

চার দিনের সফর শেষে ১৪ মার্চ দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১১, ২০১৮)