দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বিমানে নিহতদের মরদেহ দেশে আনা ও আহতদের চিকিৎসা বাবদ সকল খরচ বহন করবে ইউএস-বাংলা।

মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) ইউএস বাংলার জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ক্যাপটেন আবিদ মারা গেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা কত তা জানা যায়নি।

সোমবার (১২ মার্চ) নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। নেপাল সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের নিহত হয়েছেন।

ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেম নাথ ঠাকুর বলেছেন, দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট টার্বোপ্রোপ বিমানটি ৬৭ আরোহী ও ৪ জন ক্রু নিয়ে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে কাঠমান্ডুর উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। যাত্রীদের মধ্যে ৩৭ পুরুষ, ২৭ নারী ও দুই শিশু ছিল।

এদিকে নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৩৬ বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র ৯ জন জীবিত আছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।

সোমবার (১২ মার্চ) রাত ১০টা ২৭ মিনিটে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে একথা জানান তিনি।

ওই বিমানের পাইলট, ক্রু ও যাত্রীদের নামের তালিকার ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, পাইলট নরভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজন ক্রু সম্ভবত জীবিত আছেন, তবে তাকে এখনও পাওয়া যায়নি।

এই তালিকা থেকে জানা যায়, বিমানটিতে মোট ৩৬ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এর মধ্যে ৪ জন্য ইউএস বাংলার পাইলট ও ক্রু। বাকি ৩২ জন ছিলেন যাত্রী। ৩৬ জন বাংলাদেশির মধ্যে মাত্র ৯ জন জীবিত রয়েছেন, বাকিরা নিহত হয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ১৩, ২০১৮)