সোমবার ১৭ লাশ আনা হতে পারে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: নেপালে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৭ বাংলাদেশির লাশ সোমবার দেশে আনার প্রস্তুতি চলছে।
কাঠমান্ডুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আল আলামুল ইমাম রবিবার এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে বাংলাদেশিদের লাশ ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
‘সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ভারত সরকার, নেপাল সরকারের অনুমোদনের বিষয় আছে। এ ব্যাপারগুলো চূড়ান্ত হয়ে গেলেই লাশ সোমবার দেশে পাঠানো সম্ভব হবে।’
১২ মার্চ ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৭ জন বাংলাদেশিকে শনাক্ত করার পর শনিবার তাদের তালিকা প্রকাশ করে কাঠমান্ডুর বাংলাদেশ দূতাবাস।
আলামুল ইমাম বলেন, সোমবার আরও কয়েকজনের লাশ শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি কেউ আছে কিনা সেটা বিকেল পর্যন্ত জানা যায়নি।
কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলার ওই বিমানের ৭১ আরোহীর মধ্যে ৪৯ জনের মৃত্যু হয় সেদিন। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
যে দশ বাংলাদেশি প্রাণে বেঁচে গেছেন, তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ইতোমধ্যে দেশে নিয়ে আসা হয়েছে। দুজনকে পাঠানো হয়েছে সিঙ্গাপুরে। আরও একজন রবিবার বিকেলে ঢাকায় ফিরছেন।
আলামুল ইমাম বলেন, ‘কাঠমান্ডু মেডিকেলে চিকিৎসা নেওয়া শাহীন ব্যাপারী দুপুরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের পথে রওনা হয়েছেন। কবির হোসনকে দেশে পাঠানো হবে সোমবার।’
আর নরভিক হাসপাতালে থাকা ইয়াকুব আলীকে চিকিৎসার জন্য ভারতের দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান এই দূতাবাস কর্মকর্তা।
কাঠমান্ডু মেডিকেলে থাকা ইমরানা কবির হাসিকে শনিবার রাতে একটি ফ্লাইটে কাঠমান্ডু থেকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে তার বাবা রয়েছেন। এছাড়া রিজওয়ানুল হকও বুধবার থেকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে রয়েছেন।
শনিবার পর্যন্ত দেশে ফেরা পাঁচজন হলেন- শাহরিন আহমেদ, মেহেদী হাসান, সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা, আলমুন্নাহার অ্যানি ও রাশেদ রুবায়েত। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে তারা ভর্তি আছেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৮, ২০১৮)