ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ১১ দিন পর তার লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার লক্ষ্মিপুরের পারিবারিক কবরস্থান থেকে সোমবার বেলা ১২টার দিকে আদালতের নির্দেশে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিউলী হরি লাশ উত্তোলন করেন।

পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ সময় মামলার বাদী ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পলাশ কুমার রায়সহ ময়মনসিংহ ও ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে ১৫ মার্চ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশের এসআই মোস্তাফিজুর রহমান মুস্তাফিজ বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে আদালতের বিচারক মাসুদুল হক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শাওনের লাশ কবর থেকে উত্তোলনের দির্দেশ দেন। রবিবার শাওন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানা পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে বিচারক রাজিবুল হাসান প্রত্যেককে ৩ দিনের রিমান্ড মুঞ্জুর করেন। গ্রেফতার তিনজন হলেন- সঞ্জয়, পিচ্চি আরিফ ও আমিনুল ইসলাম।

২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাতে ময়মনসিংহ শহরে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশফাক আল রাফি শাওন গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পরদিন ঢাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় ৮ মার্চ বৃহস্পতিবার মারা যান তিনি। পরে ফুলবাড়ীয়ার লক্ষ্মীপুর গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে শাওনের লাশের দাফন সম্পন্ন হয়।

(দ্য রিপোর্ট/টিআই/এমএসআর/মার্চ ১৯, ২০১৮)