দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ম্যাকিয়াভেলির চাতুর্যকে দেশ শাসনের নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। নেতা বলেন, ‘দার্শনিক ম্যাকিয়াভেলি বলেছেন, শাসকের বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে ধর্ম, ধাপ্পা ও বলপ্রয়োগ। এই তিনটি বৈশিষ্ট্য খুব যোগ্যতার সঙ্গেই আয়ত্তে নিয়েছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’

সোমবার (২ এপ্রিল) সকালে দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ম্যাকিয়াভেলির চাতুর্যগুলোকে দেশ শাসনের নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ধার্মিক না হয়েও দেশ শাসনে ধর্মের ব্যবহার করা, ধাপ্পাবাজি দিয়ে মানুষের মন জয় করতে বিভ্রান্ত করা, আর তা না হলে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে জনগণের বশ্যতা আদায় করা। ম্যাকিয়াভেলির এই চাতুর্যগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনীতি ও দেশশাসনের নীতি।’

রবিবার চাঁদপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এটা সকলেই জানে, নির্বাচনের সময় আপনি ধার্মিক হয়ে যান। হেফাজতের রক্তাক্ত ঘটনার কথা মানুষ এখনো ভুলে যায়নি। সরকারি ফরমান জারি করে জুমার নামাজে মসজিদে মসজিদে খুতবা পরিবর্তন করা হয়েছে। দাড়ি-টুপি দেখলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মসজিদে মসজিদে ঢুকে নামাজরত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাও মানুষ জানে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা সাজানো মামলায় বন্দি করে রেখেছেন। আর অন্যদিকে অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে গায়ের জোরে বিভিন্ন সভা- সমাবেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ডাহা মিথ্যাচার করছেন প্রধানমন্ত্রী।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। আর বিএনপিসহ বিরোধী দলকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছেন না। গতকালও চাঁদপুরে সরকারি টাকা ব্যয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন, যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যে প্রধানমন্ত্রী মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, তাঁর মুখে ভোট চাওয়া জনগণের সঙ্গে ইয়ার্কি-তামাশা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী সরকারি খরচে নির্বাচনী প্রচার চালালেও ইসি নির্বিকার। এটা দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, কিন্তু ক্ষমতাসীনদের নির্বাচনী আইন ভঙ্গের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন ‘রিপভ্যান উইংকেল’-এর মতো দীর্ঘ নিদ্রায় শায়িত থাকে।”

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমদ আজম খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ০২, ২০১৮)