দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দুইটি আত্মঘাতী গোলে ৪-১ ব্যবধানের জয়ে ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে এক ম্যাচে দুটি আত্মঘাতী গোল করা মাত্র চতুর্থ দল রোমা। বার্সেলোনার হয়ে একটি করে গোল করেছেন লুইস সুয়ারেজ ও পিকে।

ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই রোমাকে চেয়ে ধরেছিল বার্সেলোনা। সপ্তম মিনিটে গোলের আনন্দে উৎসবও শুরু হয়ে গিয়েছিল ন্যু ক্যাম্পে। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার পাস থেকে বল জালে জড়িয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু অফ সাইডের কারণে গোলটি বাতিল করে দেন রেফারি। পরের মিনিটে পেনাল্টির আবেদন করেছিল রোমা। রেফারি সেই আবেদনে সাড়া দেননি।

১১ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে লিওনেল মেসির বাঁ পায়ের জোরালো শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান রোমার গোলরক্ষক। ১৯ মিনিটে বার্সাকে গোলবঞ্চিত করে গোলপোস্ট। ইভান রাকিটিচের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন সুয়ারেজ। ২৮ মিনিটে আরেকটি শট নিয়েছিলেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার। এবার ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকান গোলরক্ষক।

৩৮ মিনিটে অতিথিদের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় বার্সা। ইনিয়েস্তা বল বাড়াতে চেয়েছিলেন মেসিকে। ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান ড্যানিয়েল ডি রসি। ৪১ মিনিটে বক্সের ঠিক সামনে ফ্রি-কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি রোমা।

দ্বিতীয়ার্ধের ৫৫ মিনিটে আরেকটি আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে বার্সা। রাকিটিচের ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে বল নিজেদের জালে পাঠিয়ে দেন রোমার ডিফেন্ডার কস্তাস মানোলাস।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি বার্সাকে। ৫৯ মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন পিকে। সুয়ারেজের শট গোলরক্ষক ফিরিয়ে দিলে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে দেন স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।

ব্যবধান কমানোর দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েছিল রোমা। তবে দুর্দান্ত সেভ করে বার্সার ত্রাতা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন। ৮০ মিনিটে অবশ্য দলকে আর বাঁচাতে পারেননি জার্মান এই গোলরক্ষক। খুব কাছ থেকে গোল করে ব্যবধান কমান এডিন জেকো।

৮৭ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে বার্সার বড় জয় নিশ্চিত করে ফেলেন সুয়ারেজ। এক হাজার ৫৮ মিনিট পর চ্যাম্পিয়নস লিগে গোল পেলেন উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ০৫, ২০১৮)