দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অসুস্থর কারণে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানিতে হাজির করা হয়নি। অসুস্থতাকে বিবেচনায় নিয়ে আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২২ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে শুনানির দিন ধার্য ছিল।

কারাগার কর্তৃপক্ষ আদালতকে লিখিতভাবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়েছে। পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ঠিক করতে আবেদন করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরাও শুনানির দিন এক মাস পর ঠিক করার জন্য আবেদন করেন। দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত ২২ এপ্রিল শুনানির তারিখ ঠিক করেন।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মামলা পরিচালনা করতে আদালতের কাছে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, ভারতেও লালুপ্রসাদ যাদবের মামলার বিচারকাজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে।

দুদকের এই আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট অনুযায়ী আদালত চলে। সংসদীয় গণতন্ত্রের সময় দুদকের পিপি এমন কথা বলতে পারেন না। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচারকাজ চলার বিষয়টিকে বাড়াবাড়ি বলে তিনি অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। এ মামলায় অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে নেওয়া হয়। বর্তমানে খালেদা জিয়া সেখানেই বন্দি রয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ০৫, ২০১৮)