দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৫ মে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) মামলাগুলো শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন জানিয়ে শুনানি পেছানোর আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও জিয়া উদ্দিন জিয়া।

পুরান ঢাকার বকশিবাজারস্থ কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এ দিন ঠিক করেন।

মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার দুইটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা।

১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে গত বছর ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।

এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ এবং নূর আলম (৬০) নামে এক যাত্রী মারা যান।

ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।

অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১০, ২০১৮)