সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে কোটা বিরোধী শ্লোগান
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে সেখানে কোটা বিরোধী শ্লোগান ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টার পর এসব ওয়েবসাইট হ্যাকড হয়। তবে কারা এসব হ্যাকিং করেছে, তা জানা যায়নি।
এর মধ্যে রয়েছে বঙ্গভবনের ওয়েবসাইট, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইট, জাতীয় সংসদের ওয়েবসাইট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, বিসিএস প্রশাসনের ওয়েবসাইট, কৃষি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট ।
এ সময় এসব ওয়েবসাইটে দেখা যায়, কালো স্ত্রীনের মাঝে কোটা বিরোধী আন্দোলন চলার সহিংসতার একটি ছবি, যেখানে একজন ব্যক্তি বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
বড় করে ইংরেজিতে লেখা রয়েছে, 'হ্যাকড বাই বাংলাদেশ'। ছবির নীচে হ্যাশট্যাগের সঙ্গে লেখা রয়েছে 'রিফর্ম কোটা বিডি', 'রিফর্ম কোটা সিস্টেম', 'স্টুডেন্ট প্রোটেস্ট' ইত্যাদি।
তবে বুধবার (১১ এপ্রিল) ভোরের আগেই আবার ওয়েবসাইট আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
রাত বারোটার পর এসব ওয়েবসাইটে আর প্রবেশ করা যায়নি।
রাত ১টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটটি পুনরায় দেখা যায়। ভোরের আগে অন্য ওয়েবসাইটগুলো ঠিক করা হয়
এ বিষয়ে মধ্যরাতে বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বিটিআরসির কর্মকর্তাদের কারো সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মিনহার মহসিন বিবিসি বাংলাকে বলেন, ''সার্ভারের নিরাপত্তা যদি দেওয়া না হয় বা সাইটের ডেভেলপমেন্টের কোন কিছু বাদ থাকে, তাহলে সেগুলো হ্যাক করা কঠিন কিছু না। এর সুযোগে যে কেউ এগুলো হ্যাক করতে পারে।''
''যতটুকু আমরা জানি, আমাদের সরকারি ওয়েবসাইটগুলো যথেষ্ট দুর্বল। এর আগেও বিভিন্ন ওয়েবসাইট হ্যাকিংয়ের ঘটনা ঘটেছে। যদি এসব ওয়েবসাইট নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করা না হয়, তাহলে এরকম হ্যাকিংয়ের শিকার হতে পারে। আজকে যা হয়েছে, সেটা হচ্ছে টার্গেটেড হ্যাকিং বা নির্দিষ্ট করে চালানো সাইবার হামলা।''
তিনি বলেন, ''অনেক সময় হ্যাকিংয়ের পর তারা ম্যালওয়ার প্রবেশ করিয়ে দেয়। তখন ওয়েবসাইটের সব তথ্য হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে।''
''এ ধরণের ঘটনায় তথ্য সংরক্ষিত থাকলে এক মিনিটেই সেটা ঠিক করা সম্ভব। তবে ম্যালওয়্যার পরীক্ষার জন্য বেশি সময়ও লাগবে পারে'', বলছেন মহসিন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১১, ২০১৮)