দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৩-০ গোলে বার্সেলোনা হারিয়ে সেমি ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রোমা।

প্রথম লেগে বার্সার মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৪-১ গোলে হারার পর কেউ আশা করেনি এই ক্লাবটিকে নিয়ে। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের ইতালিয় রূপকথা লিখেই সেমি ফাইনালে উঠেছে রোমা।

দলটিকে তুলনা করা যেতে পারে ডেভিডের সাথে, কিংবা রোমান কলিসিয়ামের গ্ল্যাডিয়েটরদের সাথে। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৪ গোলের সমতা, একটি অ্যাওয়ে গোলের কারণে সেমি ফাইনালে চলে যাওয়া- ফুটবল দেবতার ছোঁয়া না থাকলে সম্ভব না। সাথে প্রশংসা পায় ডানিয়েল ডি রসির মতো বুড়ো গ্রেটদের সাহসিকতাও।

এই ম্যাচে বল দখলের লড়াইয়ে কিছুটা পিছিয়ে ছিল রোমা। কিন্তু বাকি সব দিকেই ছিল এগিয়ে। বার্সার গোলমুখে মোট ১৬টি শট নিয়েছে রোমা, যার ৬টি লক্ষ্যে। আর বার্সা মোট শট নিয়েছে ৮টি, যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র ২টি।

ম্যাচের প্রথম আক্রমণ বার্সা করলেও গোলমুখে প্রথম সফলতা রোমারই। মাত্র ৬ষ্ঠ মিনিটেই রোমার ইতালিয়ান মিডফিল্ডার ডি রসির পাস থেকে গোল করেন বসনিয়ান ফরোয়ার্ড এডিন জেকো। প্রথমার্ধে আর সুযোগ বলতে বার্সেলোনা দুইটি ফ্রিকিকের সুযোগ পেয়েছিল রোমার গোলপোস্টের ২৫ গজের মধ্যে। তবে মেসির নেওয়া দুটি শটই চলে যায় ক্রসবারের উপর দিয়ে।

প্রথমার্ধেই রোমার সার্বিয়ান ফরোয়ার্ড শিক গোল করার কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেছিলেন। জেকোর একটি দারুণ হেড ঠেকিয়েও দিয়েছিলেন বার্সার জার্মান গোলরক্ষক মার্কো আন্দ্রে টার স্টেগেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই অর্ধবিরতিতে যায় দুই দল।

দ্বিতীয়ার্ধে সেই পুরোনো আক্রমণাত্মক রূপেই দেখা যায় রোমাকে। আর বার্সার খেলায় পাওয়া যায় না কোন আত্মবিশ্বাসের ছাপ। ৫৭ মিনিটের মাথায় ডি বক্সের ভেতরে জেকোকে হাত ধরে টেনে ফেলে দেন বার্সার ডিফেন্ডার পিকে। পিকেকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। দেন বার্সার বিপক্ষে পেনাল্টির নির্দেশ। সেখান থেকে গোল করেন ডি রসি। দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে দেন।

এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিটে বার্সার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠোকেন গ্রিক ডিফেন্ডার কস্তাস মানোলাস। কর্ণারে দারুণ এক হেড থেকে গোল করেন তিনি। এই তিন গোলের সাথে একটি মহামূল্যবান অ্যাওয়ে গোল, দুই লেগ মিলে ৪-৪ গোলের সমতা থাকলেও অ্যাওয়ে গোলের হিসেবে সেমিতে যাচ্ছে বার্সাই।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১১, ২০১৮)