দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে এই অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সামরিক হামলার অনুমোদন দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত জানিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স। খবর- বিবিসির।

গত সপ্তাহে বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত শহর পূর্ব গৌতার দুমায় সরকারি বাহিনীর রাসায়নিক হামলায় অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাব হিসেবে এই সামরিক হামলার ঘোষণা দেয়া হলো।

জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এক যৌথ সামরিক হামলা হতে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সিরিয়ান সরকার নিষিদ্ধ রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা বন্ধ করা না পর্যন্ত আমরা এই হামলা চালিয়ে যাবো।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সিরিয়ান রাজধানী দামেস্কে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ব্রিটিশদের এই সামরিক হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, এই সামরিক হামলার কোনও বিকল্প নেই। তবে তিনি এই হামলাটি সরকার পরিবর্তনের জন্য নয় বলেও নিশ্চিত করেন।

তবে সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ বলেন, এ হামলাটি কোনও মানুষের কাজ হতে পারে না। এ হামলাকে তিনি দানবদের হামলা বলেও অভিহিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, অনেকগুলো টমাহক ক্রুজ মিসাইল সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে হামলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান তারা অন্তত ছয়বার ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

তবে সিরিয়ান সরকারি টেলিভিশন জানায়, সিরিয়ার উত্তর দামেস্কে একটি বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারে হামলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩টি মিসাইল ধ্বংস করে দেয়া হয়।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের যৌথ সেনাবাহিনী সিরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৪, ২০১৮)