ব্যাংকের রক্ষকরাই ভক্ষক : সিপিডি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ব্যাংক খাতে চরম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে। এ খাত বর্তমানে এতিম অবস্থায় রয়েছে। এ জন্য ব্যাংকের রক্ষকরাই ভক্ষক হিসেবে কাজ করছে। ফলে আমাদের অর্থনীতি এখন একটা ভ্রমের মধ্যে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) সিরডাপ মিলনায়তনে জাতীয় বাজেট ২০১৮-১৯ উপলক্ষে সিপিডির সুপারিশমালা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মুদ্রানীতি ঘোষণার কিছুদিন পর সিআরআর কমানোর বিষয়টি উল্লেখ করে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, নিজের ঘোষিত মুদ্রানীতি আপনিই যদি না মানেন, তার অর্থ হচ্ছে আপনি বিকলাঙ্গ ব্যাংকিং ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছেন।
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, মুদ্রানীতিতে ঋণ প্রবৃদ্ধির হার ধরা হলো ১৬.৫ শতাংশ। কিন্তু বিতরণ হয়েছে ১৮ শতাংশের বেশি। অথচ বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির অবস্থায় রয়েছে। তাহলে টাকা গেল কোথায়? ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ না বাড়ায় আয়হীন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধি, উৎপাদন, কর্মসংস্থান ও আয় এই চারটির মধ্য সামঞ্জস্য আছে কি না দেখতে হবে। সামঞ্জস্য না থাকলে বুঝতে হবে সমস্যা আছে। আমরা দেখছি দেশে কর্মসংস্থান বাড়লেও আয় কমছে। অর্থাৎ দেশ আয়হীন কর্মসংস্থানে পরিণত হয়েছে।
সিপিডির সম্মানীয় ফেলো বলেন, দেশ এখন কর্মসংস্থানহীন প্রবৃদ্ধির ধারা থেকে বেরিয়ে আয়হীন কর্মসংস্থানের দিকে এগুচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চলতি অর্থবছর শেষে রাজস্ব ঘাটতি দাড়াবে ৫০ হাজার কোটি টাকা।
এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পেছনে আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাজেটে সরকারের এক বিলিয়ন ডলার ব্যয় (৮ হাজার ২শ কোটি টাকা) ধরার প্রস্তাব দিয়েছে সিডিপি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৭, ২০১৮)