দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে প্রথম জয় পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। কিন্তু জয়ের শিকে ছেঁড়ার দিনে বল হাতে অনুজ্জ্বল থাকলেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

প্রথমে ব্যাট করা মুম্বাইয়ের সংগ্রহ ছিল ছয় উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেনি বিরাট কোহলির দল। নিজেরা ইনিংস শেষ করেছে আট উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রানে। বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা তাই আসরের প্রথম জয়টাও পেয়ে গেল ৪৬ রানে।

দলীয় চতুর্থ ওভারে মুস্তাফিজকে বোলিংয়ে এনেছিলেন রোহিত। এক ছক্কা ও এক চারে সেই ওভারে বাঁহাতি পেসার গুনেছিলেন ১৩ রান। দ্বিতীয় ওভারে দুই রান কম ১১ রান দেওয়ার পর বোলিংয়েই আসেননি আর।

১৬তম ওভারে আবার ফিরেছিলেন কাটার-মাস্টার। সেই ওভারে ১৩ রান দিয়েও আসেনি উইকেট। আর শেষ ওভারে তো দিয়েছেন ১৮ রান। সব মিলিয়ে চার ওভারে ৫৫ রান গুনে উইকেটশূন্য থেকেই মাঠ ছেড়েছেন মুস্তাফিজ। ওভার প্রতি ১৩.৭৫ গড়ে রান দিয়ে মুম্বাই বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচেও ছিলেন তিনি।

মুম্বাইয়ের হয়ে মুস্তাফিজ বিফল হলেও স্পিনার ক্রুনাল পান্ডে তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট। এছাড়া মিচেল ম্যাক্লেনাগান ও জশপ্রীত বুমরাহ নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে রোহিত শর্মার দলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ব্যাঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি। নেমেই প্রথম দুই বলে দুই উইকেট হারালেও ইভান লুইস আর দলপতি রোহিত মিলে ১০৮ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে মুম্বাইকে গড়ে দেন বড় সংগ্রহের ভিত।

পাঁচ ছক্কা আর ছয় চারে লুইস ৪২ বলে ৬৫ রানে ফিরলেও রোহিত ছিলেন ইনিংসের শেষ বলের আগ পর্যন্ত। দশ চারের সঙ্গে পাঁচ ছক্কায় ৫২ বলে ৯৪ রানে ফেরত যাবার সময় চলতি আইপিএলের প্রথম শতকটা না হাঁকাতে পারার আক্ষেপে পুড়েন মুম্বাই কাপ্তান। অবশ্য এই আইপিএলের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটা এখন তাঁরই।

ব্যাঙ্গালুরুর পুরো ব্যাটিং লাইনআপ মুখ থুবড়ে পড়লেও অধিনায়ক কোহলি লড়েছেন একাই। তাঁর ৬২ বলে অপরাজিত ৯২ রানের ইনিংসটা ছাড়া আর কেউ দাঁড়াতেই পারেনি মুম্বাইয়ের বোলারদের সামনে। ম্যাচ শেষে কি দারুণ মিল দুই দলের অধিনায়কের মধ্যে। একজনের আক্ষেপ ছয় রানের, আরেকজনের আট রানের আফসোস। অবশ্য শতক বঞ্চিত হওয়ার সঙ্গে পরাজিত দলে থাকা কোহলির আক্ষেপটা একটু বেশিই।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৮, ২০১৮)