দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের পর এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও ছাত্রলীগ নেত্রী ইফফাত জাহান এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে। উল্টো এখন তাকে হেনস্তাকারীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য খুঁজছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

কোটা সংস্কারের এক আন্দোলনকারীর রগ কাটার যে অভিযোগ উঠেছিল এশার বিরুদ্ধে, তার কোনো সত্যতা পাওয়া না যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সভাপতি এশার বিরুদ্ধে হলের ছাত্রীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়লে গত ১০ এপ্রিল রাতে হলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে দর্শনের এই ছাত্রীকে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রক্টর।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান ছাত্রলীগ নেত্রী এশাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করেন।

হলের ছাত্রীরা তখন অভিযোগ করেন, ছাত্রলীগ নেত্রী এশা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনকারীদের নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন।

ওই রাতে ছাত্রলীগও এশাকে বহিষ্কার করেছিল। কিন্তু পরে ছাত্রলীগের সাবেক একদল নেতা এশার পক্ষে দাঁড়ানোর পর গত ১৩ এপ্রিল তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় সরকার সমর্থক ছাত্র সংগঠনটি।

এরপর এশার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগকারী মোর্শেদা খানমসহ ২৪ জনকে পাল্টা বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। আন্দোলনকারী মোর্শেদা সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন।

ছাত্রলীগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও একই পদক্ষেপ নিল।

বুধবার উপাচার্যের সভাপতিত্বে ‘ডিসিপ্লিনারি বডি’র এক সভায় এশার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান প্রক্টর গোলাম রাব্বানী।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন,“এ ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের যে কমিটি হয়েছিল, সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘রগ কাটার’ অভিযোগ মিথ্যা ও গুজব বলে প্রমাণিত হয়েছে। সে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সাময়িক বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে।”


সেই রাতে প্রক্টর যখন এশাকে উদ্ধারের করছিলেন, তখন বিক্ষোভকারীদের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছিলেন এই ছাত্রলীগ নেত্রী। তাদের শাস্তি দেওয়ার দাবি তুলেছে ছাত্রলীগ।

এই বিষয়ে প্রক্টর বলেন, “সে বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। ওই ঘটনায় কার কেমন অংশগ্রহণ ছিল, তার অনুসন্ধান করে তাদের বিরুদ্ধেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”