দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ২০১৭ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিবেদনে জামায়াতে ইসলামীকে ‘এনজিও’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

৪২ বছরের ধরে চলা নিয়মানুযায়ী গত শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দেশটির ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন জে সুলিভান ওই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

প্রতিবেদনে বিশ্বের প্রায় ২০০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক সময়ের রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী এনজিও হিসেবে ঘরোয়া বৈঠকের অনুমতি চেয়েও পায়নি। এমনকি গেলো বছরের ৯ অক্টোবর রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে জামায়াতে আমির, সহকারী আমির ও মহাসচিবসহ নয়জনকে আটক করা হয়। সে সময় অভিযোগ করা হয়, তারা দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছিলেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানি ও জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগের কারণে তারা জনসম্মুখে কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারছেন না।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই প্রতিবেদনে জামায়াতের রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট ২০১২ সালে যে রায় দিয়েছেন, সেটির বিরুদ্ধে দলটি আপিল করার পরও সেটির সুরাহা এখনও হয়নি।

এদিকে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার বাংলাদেশের আইনে থাকলেও তা সীমিত করেছে সরকার। অনুমতি নিয়ে সভা-সমাবেশ করতে হচ্ছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ২২, ২০১৮)