দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির ও সাত লাখ রোহিঙ্গার বাস্তুচ্যুত হওয়ার প্রভাব সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে মে মাসে প্রথম দিকে বাংলাদেশে আসছেন কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড। তার সঙ্গে যোগ দেবেন মিয়ানমারে নিযুক্ত কানাডার বিশেষ দূত বব রে। তবে তিনি মিয়ানমার সফর করবেন না বলে কানাডার ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে সেদেশের সংবাদমাধ্যম গ্লোব এন্ড মেইল।

গত বছরের ২৫ আগস্ট রাখাইনের কয়েকটি নিরাপত্তা চৌকিতে হামলার পর পূর্ব-পরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ আর অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরোলো ভূমিকা রেখেছে কানাডা। অক্টোবরে টরেন্টোর সাবেক এমপি বব রে-কে মিয়ানমারের বিশেষ দূত নিয়োগ দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

তদন্ত শেষে তার দেওয়া প্রতিবেদনে মিয়ানমারে মানবতাবিরোধী অপরাধের ‘শক্তিশালী ইঙ্গিত’রয়েছে বলে জানিয়েছেন। সম্প্রতি শেষ হওয়া কমনওয়েলথ সম্মেলনেও ব্রিটেনকে সঙ্গে নিয়ে জোরালো ভূমিকা রেখেছে তারা। মিয়ানামের অভিযুক্ত সেনাসদস্যদের বিচার ঐক্যের ডাক দিয়েছে তারা। রোহিঙ্গা প্রশ্নকে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি-সেভেন জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে তুলেছে কানাডা।

গ্লোব এন্ড মেইলের খবরে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ড বাংলাদেশের শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন। টরেন্টোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের শিক্ষক জন কিরটন গ্লোব এন্ড মেইলকে বলেছেন, রোহিঙ্গা সংকটকে ফ্রিল্যান্ড ব্যক্তিগত কূটনৈতিক তৎপরতার মূলে রেখেছেন। তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রী মিয়ানমারেও সফরে যাচ্ছেন শুনলেও তিনি অবাক হবেন না।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল, ২৩, ২০১৮)