ট্রিপল সেঞ্চুরির পর সাকিবের অর্ধশত
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: আইপিএলের আগের ম্যাচেই মুম্বাই অধিনায়ক রোহিত শর্মার উইকেট নিয়ে বিশ্ব টি-টোয়েন্টিতে উইকেটে অসাধারণ ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছিলেন।
পরের ম্যাচে এসে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের উইকেট তুলে নিয়ে আইপিএলে নিজের উইকেটের অর্ধশত পূরণ করলেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
আগের ম্যাচেই ট্রিপল সেঞ্চুরির সঙ্গেই তুলে নিতে পারতেন অর্ধশত। কিন্তু এক উইকেটের প্রয়োজন থাকায় সে ম্যাচে পারেননি সাকিব। তাই অপেক্ষা করতে হল এ ম্যাচের জন্য। এদিন আর দেরি করেননি। দলীয় ১২.১ ওভারের সময় মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে মানিশ পান্ডের ক্যাচ বানিয়ে আইপিএলের নিজের উইকেটের অর্ধশত পূরণ করেন সাকিব। এরপর অ্যারেন ফিঞ্চকে পান্ডের ক্যাচ বানিয়ে ৫১তম উইকেট তুলে নেন বাঁ হাতি এ অলরাউন্ডার।
এবারের আসর শুরুর আগে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের ঝুলিতে ছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ২৯৪টি উইকেট। টুর্নামেন্টের ৬ষ্ঠ ম্যাচে এসে তুলে নিয়েছেন টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে নিজের ৩০০তম উইকেটটি। এর মাধ্যমে তিনি বিশ্বের পঞ্চম বোলার হিসেবে ৩’শ এলিট ক্লাবে প্রবেশ করেন। পাশপাশি বিশ্ব ক্রিকেটের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে ডোয়াইন ব্রাভোর পর ৪ হাজার রান ও ৩’শ উইকেটের কৃতিত্ব অর্জন করেন।
সাকিবের আগে আরো চারজন এ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন। তারা হলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার ডোয়াইন ব্রাভো। তিনি ৩৮০ ম্যাচে ৪১৭ উইকেট নিয়ে তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছেন লঙ্কান লিজেন্ড লাসিথ মালিঙ্গা। তিনি ২৫৬ ম্যাচে নিয়েছেন ৩৪৮ উইকেট। তৃতীয় স্থানে আছেন আরেক ক্যারিবীয়ন সুনীল নারাইন। তিনি ২৭৭ ম্যাচে নিয়েছেন ৩২৫ উইকেট। চতুর্থ স্থানটি দখল করেছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ও এক সময়ের সেরা অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। তিনি ২৭৪ ম্যাচে নিয়েছেন ৩০০ উইকেট। এরপরের অবস্থানের রয়েছেন সাকিব আল হাসান।
আইপিএলের ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত সাকিব ৫০ ম্যাচ খেলে ১ হাজার ২৭৩ রানের বিনিময়ে ২০.৮৮ স্ট্রাইক রেটে তুলে নিয়েছেন ৫১টি উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ১৭/৩। অন্যদিকে ৫০ ম্যাচে ১২৮.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট হাতে তুলে নিয়েছেন ৬১৫ রান। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ৬৬ রান। রয়েছে ২টি অর্ধশত।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এ পর্যন্ত ৬৩টি ম্যাচ খেলে ২২.৪৯ গড়ে করেছেন ১ হাজার ২৩৭ রান। সেরা ইনিংস ৮৪ রান। অন্যদিকে বল হাতে ২০.৬২ গড়ে নিয়েছেন ৭৫টি উইকেট। সেরা বোলিং ১৫ রানে ৪ উইকেট। অন্যদিকে ফ্রাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টিতে ২৬১ ম্যাচে ২০.৬৯ গড়ে করেছেন ৪ হাজার ৯৭ রান। সেরা ইনিংস অপরাজিত ৮৬ রান। অন্যদিকে বল হাতে ২০.৪৫ গড়ে তুলে নিয়েছেন ৩০২টি উইকেট। সেরা বোলিং ৬ রানে ৬ উইকেট।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ২৭, ২০১৮)