পরাজয় জেনেই সরকারের এই কারসাজি: ফখরুল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনে নিজেদের পরাজয় নিশ্চিত জেনেই সরকার নির্বাচন স্থগিত করেছে।
রবিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণার পর সন্ধ্যায় গুলশানের বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গাজীপরের নির্বাচন স্থগিত করায় আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি। সরকার জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। সরকার নিশ্চিত পরাজয় জেনে নিজেদের লোক দিয়ে কারসাজি করে নির্বাচন স্থগিত করিয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন স্থগিত করে সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা পুরোপুরি জনবিচ্ছিন্ন। আমরা সরকারের এই অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। এটি জনগণকে তাদের গণতান্ত্রিক, নৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ভোট স্থগিত করে আমাদের বিজয় নিশ্চিত করে দিয়েছে। এনিয়ে তো সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।
ভোট স্থগিতের পর সংবাদ সম্মেলন করে বের হওয়ার সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমানসহ আটক ১৬ জনকে মুক্তি দেয়ার জোর দাবি জানান তিনি।
এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে স্থগিতাদেশের পর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা, সারা জীবন লড়াই করেছি। আমি আবেদন করব নির্বাচন কমিশনের কাছে, নির্ধারিত তারিখেই নির্বাচনের জন্য। আইনি লড়াই এবং জনগণের অধিকার আদায়ের লড়াই- সব ধরনের লড়াই চালিয়ে যাব।
এই সংবাদ সম্মেলন থেকে ফেরার পথে নোমানসহ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের রাখা হয়েছে টঙ্গী থানায়। হাসান সরকারের বাড়িও ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
আগামী ১৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ নির্বাচন স্থগিতের রায় দেন।
সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এই আবেদন করেন শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ০৬, ২০১৮)