খালেদার জামিন শুনানি আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহাল থাকবে কিনা তা জানা যাবে মঙ্গলবার (৮ মে)।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেত্বত্বাধীন চার সদস্যর বেঞ্চে এ মামলা জামিনের ওপর শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ৯ নম্বরে রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আনা হয়েছে। খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ। মেডিক্যাল সার্টিফিকেটও আমরা জমা দিয়েছি। আমরা আশাকরি খালেদা জিয়া আজ এ মামলায় জামিন পাবেন।’
প্রসঙ্গত, খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে গত ১৯ মার্চ আদেশ দেন আপিল বিভাগ এবং শুনানির জন্য ৮ মে দিন ধার্য রাখেন। আদেশে দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ, দুদক ও আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
সর্বোচ্চ আদালত খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে শুনানি করেন জয়নুল আবেদীন।
গত ১৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন। এই মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এছাড়া এই মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। পাশাপশি বিচারিক আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে পাঠাতে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের মোট ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ০৮, ২০১৮)