দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে চূড়ান্ত নির্দেশনা এখনো জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আসেনি বলে জানিয়েছেন সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।

মঙ্গলবার (৮ মে) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শুদ্ধাচার কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিধি এবং সংগঠন ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের কার্যাবলী সর্ম্পকে অবহিতকরণের লক্ষ্যে অংশীজনদের কর্মশালা তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি শিগগিরই প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

কোটার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক খান বলেন, ‘কোটা বাতিলের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী যে মন্তব্য বা অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন বা নির্দেশ দিয়েছেন সেটার চূড়ান্ত রূপ; আপনারা যা বলেন প্রজ্ঞাপন বা সার্কুলার, সেই কাজটা একটু বাকি আছে। সেটা কোন পর্যায়ে আসবে সেজন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে।’

বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে এটা কি বলা যায়- জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘সরকারের চূড়ান্ত বিবেচনাধীন আছে।’

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় নিজেদের চলমান আন্দোলন স্থগিত করেছিল কোটা সংস্কারের দাবিতে গঠিত প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এরপর দ্রুত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি তোলেন তারা। এই দাবিতে আন্দোলনে নামেন আন্দোলনকারীরা। কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘোষণা ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বাস্তবায়নের প্রথম দফার আল্টিমেটাম ২৬ এপ্রিল দিয়েছিলেন তারা। এই সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ১ মে থেকে ফের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা।

এমতাবস্থায় ২৭ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীমের বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে ৭ মে পর্যন্ত আল্টিমেটামের সময় বৃদ্ধি করেছিলেন আন্দোলনকারীরা। বেঁধে দেয়া সময় গতকাল সোমবার শেষ হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ০৮, ২০১৮)