দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব তেহমিনা জানজুয়া মিথ্যাভাবে নিজেকে ‘পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’ পরিচয় দিয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনের ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলন শেষে পাকিস্তানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি ধরা পড়েছে।

গত ৪ মে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাকিস্তানের পাঠানো এক নোট ভার্বাল বা আনুষ্ঠানিক পত্রে বলা হয় ‘প্রতিমন্ত্রী তেহমিনা জানজুয়া’ ওআইসি’র মন্ত্রী সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন। কিন্তু ৭ মে বাংলাদেশে পাকিস্তানের দূতাবাস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘৪৫তম ওআইসি কাউন্সিল অব ফরেন মিনিস্টারস বৈঠক ৬ মে ঢাকায় সমাপ্ত হয়েছে। পাকিস্তান দলের নেতৃত্ব দিয়েছে পররাষ্ট্র সচিব তেহমিনা জানজুয়া।’

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার কোনও ধারণাই নেই পররাষ্ট্র সচিব কেন নিজেকে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন।’

অনেক সময়ে বৈদেশিক সম্পর্কে একজন ব্যক্তিকে ‘বিশেষ দূত’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। সেক্ষেত্রে পররাষ্ট্র সচিবকে ‘প্রতিমন্ত্রী’ পর্যায়ে উন্নীত করা হয়। কিন্তু এরকম পরিস্থিতিতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়ে থাকে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকের এই অনুষ্ঠানের জন্য বা এই মেয়াদের জন্য ‘প্রতিমন্ত্রীর প্রটোকল’ দেওয়া হলো। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের ওই নোট ভার্বালে এ ধরনের কোনও কিছুই বলা ছিল না।

উল্লেখ্য ওআইসি’র ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলন গত রবিবার (৬ মে) ঢাকা ঘোষণা গ্রহণের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়। এই ঘোষণাপত্রের ১৮ নম্বর প্যারা সম্পর্কে সোমবার আপত্তি জানায় পাকিস্তান।

তারা বলে, ‘কনফারেন্স শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্বাগতিক দেশ ঢাকা ঘোষণা সবার মাঝে বিতরণ করে। এই ঘোষণায় শুধু স্বাগতিক দেশের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়েছে। এ কারণে স্বাগতিক দেশ তার নিজ দায়িত্বে এটি ইস্যু করেছে। এর ফলে বোঝা যায় এই ঘোষণা নিয়ে সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা বা দর কষাকষি করা হয়নি।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর জবাবে একটি প্রেস রিলিজ ইস্যু করে বলে, ‘ঢাকা ঘোষণার মূল খসড়া ওআইসির সেক্রেটারিয়েট থেকে প্রস্তুত করা হয়েছে। পরবর্তীতে কিছু সদস্য, ওআইসির সঙ্গে সম্পর্কিত সংস্থা ও স্বাগতিক দেশ এর কয়েকটি বাড়তি প্যারাগ্রাফ সংযোজনের প্রস্তাব করে। নতুন প্রস্তাবগুলো কাউন্সিলে খসড়া গৃহীত হওয়ার আগেই সংযোজন করা হয়। কিন্তু, মূল খসড়ায় পাকিস্তানের আপত্তি যে ১৮ নম্বর প্যারা নিয়ে তার কোনও পরিবর্তন করা হয়নি।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ০৯, ২০১৮)