দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের দেশ ত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

শনিবার (১২ মে) দেশটির অভিবাসন বিষয়ক কর্মকর্তারা এমনটাই জানিয়েছেন। খবর- বিবিসির।

গত বুধবার মালয়েশিয়ার সাধারণ নির্বাচনে মাহাথির মোহাম্মদের নেতৃত্বাধীন জোট জয়ী হয়। আর নির্বাচনে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা বারিশান ন্যাশনাল জোট পরাজিত হয়।

বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মাহাথির মোহাম্মদ শপথ নেয়ার একদিন পর এ ধরনের ঘটনা ঘটলো।

পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছুটি কাটাতে শনিবার দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, নাজিবের এমন মন্তব্যের কিছুক্ষণ পরই তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার খবর আসে বলে জানিয়েছে বিবিসি।

টুইটারে পরে সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীও তার দেশ ছাড়ে নিষেধাজ্ঞার খবর নিশ্চিত করেন। কি কারণে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে কর্তৃপক্ষ তা না জানালেও নাজিব বলেছেন, তিনি এ নির্দেশ মেনে চলবেন।

নাজিবের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ তহবিল ওয়ানএমডিবি থেকে ৭০ কোটি মার্কিন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ আছে।

রাজধানী কুয়ালালামপুরকে বিশ্ব অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করার পাশাপাশি কৌশলগত বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি গতিশীল করার পরিকল্পনায় ২০০৯ সালে এই ওয়ানএমডিবি তহবিল গঠন করা হয়েছিল। তহবিলে তিনশ কোটি ডলারের বেশি অর্থ ছিল।

ওই তহবিলের অর্থ আত্মসাতের মাধ্যমে মালয়েশীয়দের প্রতারিত করা হচ্ছে, ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে এ সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ থাকার কথা জানিয়ে অন্তত একশ কোটি ডলারের সম্পদ জব্দ করার উদ্যোগ নেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে এ সংক্রান্ত একটি মামলাও হয়। মার্কিন বিচার বিভাগের দায়ের করা ওই মামলার কাগজপত্রে মালয়েশিয়ার সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের নাম উল্লেখ না করে ‘মালয়েশিয়া অফিসিয়াল ওয়ান’ বলা হয়।

নাজিব শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা এ অভিযোগ অস্বীকার করছেন। ক্ষমতায় থাকাকালে প্রধানমন্ত্রীকে এ অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল মালয়েশিয়ার বিচার বিভাগও।

বিরোধীদের অভিযোগ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে মালয়েশিয়ার তদন্ত থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন নাজিব। ওয়ানএমডিবি তহবিল থেকে নাজিবের অর্থ আত্মসাতের নতুন তদন্তও চেয়েছে তারা।

দুর্নীতির এ অভিযোগকে ঘিরেই মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গেও দূরত্ব তৈরি হয় নাজিবের।

ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারি প্রকাশের পর মাহাথির তার এক সময়ের পছন্দের প্রার্থী নাজিবকে ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১২, ২০১৮)