দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছে, ‘সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মজুত রয়েছে।’

এ কারণে রোজায় পণ্যের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই উল্লেখ করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, কেউ কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বা সংকট সৃষ্টি করলে তার বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রবিবার (১৩ মে) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি দেন। এদিন আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনাসহ মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি রোধ এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা হয়।

সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘চিনি, তেল, সোলা, পেঁয়াজ-রসুন, খেজুরসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি মজুত রয়েছে, সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। এসব পণ্যের সংকট বা মূল্যবৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। যদি কৃত্রিম উপায়ে কোনও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বা মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়, তাদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থা কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করবে। আশা করি কোনও ধরনের অভিযোগ পাওয়া যাবে না।’

বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, প্রতিটি পণ্যের মজুদ বিগত দিনের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি রয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এ সব পণ্যের কোনও সংকট নেই বা মূল্য বাড়েনি।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে চিনি, ছোলা, মসুরডাল, রসুন, গরুর মাংস, লবণ ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য গত বছরের তুলনায় কম রয়েছে। তেলের মূল্যও স্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক বাজারেও গত বছরের তুলনায় এসব পণ্যের মূল্য কম রয়েছে। সঙ্গত কারণে এ মুহূর্তে এগুলোর মূল্য বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই। চাহিদার তুলনায় কয়েকগুণ বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুত থাকার কারণে পণ্যে কোনও সংকট হবে না।’

তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সরকার ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। সরবরাহ চেইনে যাতে কোনও ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সব আমদানি পয়েন্টে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য খালাসের বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কোনও ধরনের সমস্যা হবে না। দেশের মানুষ স্বাভাবিক পরিবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবেন।’

সভায় বাণিজ্যসচিব শুভাশীষ বসু, টেরিফ কমিশনের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারাসহ এফবিসিসিআই, সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেডকোয়ার্টার, এনএসআই, ডিসিসিআই, বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও বাজার কমিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৩, ২০১৮)