সিম্ফোনিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিম্ফোনি তৈরির প্রতিষ্ঠান এডিসন গ্রুপকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। নিম্নমানের হ্যান্ডসেট বিক্রি করে প্রতারণা ও কাস্টমার কেয়ার সদস্যদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে এই জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার দুইপক্ষের শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এই জরিমানা করা হয়।
অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার দুইপক্ষের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। শুনানিতে ভোক্তার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য সিম্ফোনিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
অভিযোগকারী ক্রেতা এস এম ফয়েজ জানান, গত ৫ এপ্রিল বসুন্ধরা শপিং মলের একটি দোকান থেকে সিম্ফনির ভি-৪৬ মডেলের স্মার্টফোন কেনার ৩ ঘণ্টার মধ্যে এটি বন্ধ হয়ে যায়। সমস্যার সমাধান করতে গেলে প্রথমে সেটটি পরিবর্তন করে দেয়ার কথা বলা হয়। পরে পুরনো সেটটিই মেরামত করে দেয়া হয় তাকে। প্রতিবাদ করলে দুর্ব্যবহার করেন কাস্টমার কেয়ারের সদস্যরা। এ বিষয়ে আমি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে মামলা করব বলে তাদের (কাস্টমার কেয়ারের সদস্য) জানাই। ওই সময় তারা কটূক্তি করে বলে ‘আমাদের কিছু হবে না’।
‘সম্প্রতি অধিদফতরে আমি অভিযোগ দেই। সোমবার শুনানিতে অভিযোগের ভিত্তিতে আমি তথ্যপ্রমাণ তুলে ধরি। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের জরিমানা করা হয়েছে।’- বলছিলেন ভোক্তভোগী ক্রেতা এস এম ফয়েজ।
এর আগে ২০১৭ সালে পুরান ঢাকায় সোয়েব উল্লাহ নামে এক ক্রেতার সিম্ফনি ডব্লি৬৯কিউ সেটের ব্যাটারিতে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে তার চাঁদরের কিছু অংশ পুড়ে যায়। বিষয়টি সিম্ফোনিকে জানালে প্রথমে সোয়েবকে মোবাইল ফোন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। এর কয়েকদিন পর সোয়েবকে ফোন করে হেনস্তা করেন কাস্টমার কেয়ারের সদস্যরা। তাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। তবে এই ঘটনার এক মাস অতিবাহিত হওয়ায় ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে মামলা করতে পারেননি সোয়েব উল্লাহ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৪, ২০১৮)