দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হাইকোর্টে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আপিল শুনানি করতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বুধবার (১৬ মে) সকালে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের পর এক প্রতিক্রিয়ায় দুদকের এই আইনজীবী এসব কথা বলেন।

রায়ের পর খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল খারিজ করে দিয়ে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে হাইকোর্ট বিভাগে মূল আপিল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন। এখন আপিল বিভাগের এ রায় পাওয়ার পর আমরা হাইকোর্ট বিভাগে যাব। সেখানে বলব, সর্বোচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করতে। আমরা হাইকোর্ট বিভাগে আপিল শুনানি করতে প্রস্তুত আছি।’

খুরশীদ আলম খান আরো বলেন, ‘এ মামলায় দণ্ডিত ছয় আসামির মধ্যে তিনজন কারাবন্দি। বাকিরা পলাতক। এর মধ্যে কারাবন্দি তিনজনেরই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া দুদকের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়াতে একটি রিভিশন আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন। এখন খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে বাকি দুই আসামির আপিল ও দুদকের রিভিশনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের শুনানি একসঙ্গে হবে।’

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড হয়। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার ১১ দিন পর ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রায়ের সার্টিফায়েড অনুলিপি হাতে পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ২০ ফেব্রুয়ারি এ আবেদন দায়ের করেন।

পরে ১২ মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দেওয়া ওই জামিন স্থগিত চেয়ে পরদিন ১৩ মার্চ আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদক। পরে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ দুই আবেদনের শুনানির জন্য ১৪ মার্চ দিন ধার্য করেন।

এরপর আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদককে জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে) দায়ের করতে বলে এই চার মাসের জামিন স্থগিত করেন।পরে দুইপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেন। সেই আপিলের শুনানি শেষে আজ এই রায় দেন আপিল বিভাগ।

এদিকে, নিম্ন আদালতের দণ্ডের বিরুদ্ধে গত ২২ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ এবং অর্থদণ্ড স্থগিত করে নথি তলব করেন আদালত।

এ ছাড়া গত ৭ মার্চ অপর আসামি মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামালের আপিল ও ১০ মে আসামি শরফুদ্দিনের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৬, ২০১৮)