দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি একতরফাভাবে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসতে বলে তাহলে পিয়ংইয়ং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক পুনর্বিবেচনা করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের মধ্যকার বহু প্রত্যাশিত বৈঠক আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খবর- বিবিসির।

এর আগে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, তারা ‘পুরোপুরি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে’ প্রস্তুত।

এমন এক সময় এ ধরনের দ্বিধাপূর্ণ খবর এলো যখন ওই বৈঠকের ব্যাপারে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে।

উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ দেশটির সহ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম কিয়ে-গোয়ানকে উদ্ধৃতি করে জানিয়েছে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ‘আমাদের কোণঠাসা করে ফেলে এবং একতরফাভাবে পরমাণু কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি জানায় তাহলে আমরা আলোচনায় আর আগ্রহী নই এবং সামনের উত্তর কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

সহ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার আশা ছিল যে, ‘ওই বৈঠক কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি শান্ত করবে এবং ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বড় পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করবে।’

তিনি বলেন, কিন্তু এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ওই বৈঠক সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অবজ্ঞাপূর্ণ বিবৃতি দিচ্ছে।

এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয় উত্তর কোরিয়া।

গেলো মাসে উভয় কোরিয়ার নেতার ঐতিহাসিক বৈঠক করার অসামরিক জোনে আবারও বৈঠকে বসার কথা ছিল দেশ দুটির কর্মকর্তারা। ওই কর্মকর্তারা কিম জং উন ও মুন জায়ে ইনের মধ্যকার বৈঠকের বিভিন্ন চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা করবেন বলে কথা ছিল।

তবে দক্ষিণ কোরিয়া-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করার পর নির্ধারিত এই বৈঠকটি থেকে সরে আসে উত্তর কোরিয়া।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৬, ২০১৮)